এশিয়া কাপ বাতিল, জানিয়ে দিলেন সৌরভ

এ বছর আর হচ্ছে না এশিয়া কাপ। ফাইল ছবি
এ বছর আর হচ্ছে না এশিয়া কাপ। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অনুশীলন শুরু করার ব্যাপারে এশিয়া কাপের দিকেই তাকিয়ে ছিল বিসিবি।সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এ টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হলেই ক্রিকেটারদের অনুশীলনে ফেরানোর ব্যাপারটা দ্রুততার সঙ্গে করত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু বুধবার ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়ে দিলেন এ বছর এশিয়া কাপ বাতিল হয়ে গেছে।

ইনস্টাগ্রামের একটি লাইভ শোতে প্রসঙ্গক্রমে সৌরভ বলেন, 'ওটা (এশিয়া কাপ) বাতিল হয়ে গেছে। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।'

সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ আয়োজন করার কথা ছিল। সৌরভ অবশ্য তাঁর মন্তব্যে স্বাগতিক দেশ নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। এশিয়া কাপ বাতিল হলে অবশ্য ভারতের ঘরোয়া টি–টোয়েন্টি লিগ আইপিএল আয়োজনের একটা সুযোগ তৈরি হয়। এদিকে, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। অস্ট্রেলিয়াতে নতুন করে করোনার আক্রমণ দেখা দিয়েছেন। করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের মতো ব্যবস্থা নিতে হয়েছে মেলবোর্নের মতো বড় শহরে।
এদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী অবশ্য বিসিসিআই সভাপতির এ ঘোষণার প্রেক্ষাপট বুঝতে পারছেন না, ‘তিনি কোন প্রেক্ষাপটে এটি বলেছেন, ঠিক বলতে পারছি না। আমি যতদূর জানি এসিসি এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের সম্ভাব্যতা নিয়ে কাজ করছে। এ সময়ে যদি সম্ভব না–ও হয়, তাহলে কখন আয়োজন করা যেতে পারে, সেটি নিয়ে কাজ চলছে। আইসিসিও একই কাজ করছে, এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আনুষ্ঠানিকভাবে এটা নিয়ে বলার কিছু নেই বলেই জানি।’

বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস আজ সন্ধ্যায় জানালেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিয়ে এখনো কিছু শুনিনি। বিসিবি সভাপতি (তিনি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলেরও সভাপতি) লন্ডনে আছেন। তাঁর আজ অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। এ মুহূর্তে তাঁর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ নেই। তবে আমরাও শুনেছি টুর্নামেন্টটা এ বছর যথা সময়ে আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে।’

গতমাসে এসিসির নির্বাহী সভায় এশিয়া কাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ভারতে এ মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ভারত আগেই এমন পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপে দল না পাঠানোর ব্যাপারে নিজেদের অনাগ্রহের কথা বলেছিল। আজ সৌরভ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটিই জানিয়ে দিলেন।

সৌরভের ঘোষণায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরার অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘ হলো।