বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার মাশুল দিলেন রিয়াল তারকা

রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ। ছবি: টুইটার
রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার লুকা ইয়োভিচ। ছবি: টুইটার

রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই সময়টা ভালো যাচ্ছে না লুকা ইয়োভিচের। ২৫ ম্যাচে মাত্র ২ গোল করেছেন এ স্ট্রাইকার। করোনাভাইরাস মহামারির শুরুর পর একবার বিপদে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইয়োভিচ সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না।

বেলগ্রেড থেকে সোমবার মাদ্রিদে অবতরণ করেন ইয়োভিচের এক বন্ধু। ২২ বছর বয়সী রিয়াল স্ট্রাইকার সেই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করেছেন। করোনা মহামারির মধ্যে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাইরের কারও দেখাশোনার বিষয়টি এমনিতেই সীমিত করে রেখেছে রিয়াল। কোচ জিনেদিন জিদানের এ নিয়ে কড়া নির্দেশ আছে। এরপরও কারও দেখা করার দরকার পড়লে অন্য নিয়ম আছে। অতিথিকে সবার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে। ইয়োভিচের সেই বন্ধু পরীক্ষায় পজিটিভ হন।

এরপর সেই বন্ধুকে ইয়োভিচের থেকে আলাদা করা হয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইয়োভিচকে সবার থেকে আলাদা থাকতে বলে দিয়েছে রিয়াল। ইয়োভিচ নিজেও স্বপ্রণোদিত হয়ে নিজের বাসায় 'কোয়ারেন্টিন'-এ আছেন। সোমবার বিকালে তাঁকে পরীক্ষা করে অবশ্য করোনার অস্তিত্ত্ব পায়নি রিয়াল। তবু আরও কিছু পরীক্ষার জন্য তাঁকে সবার থেকে আলাদা থাকতে হবে।

শুক্রবার তাই আলাভেসের সঙ্গে ম্যাচে দেখা যাবে না ইয়োভিচকে। করোনার মধ্যে লকডাউনের নিয়ম ভেঙে এর আগে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।লিগ স্থগিত থাকার সময় পাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ছুটিতে মাদ্রিদে মন টিকছিল না তাঁর। 'করোনামুক্ত'-এ সনদ জোগাড় করে কোয়ারেন্টিন ভেঙে স্পেন ছেড়ে তিনি গিয়েছিলেন দেশে।

সেখানেও ভেঙেছেন কোয়ারেন্টিন। এতে ফুঁসে ওঠে পুরো দেশ। বান্ধবীর জন্মদিনের জন্য সার্বিয়া গিয়েছিলেন ইয়োভিচ। জন্মদিনে দুজনকে রাস্তায়ও দেখা যায়।দেশটির প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছিলেন, ইয়োভিচের টাকার চেয়ে সার্বিয়ার মানুষের জীবনের মূল্য বেশি।