আইসিসি এক চোখে তেল আরেক চোখে নুন বেচছে

সাউদাম্পটন টেস্টে বর্ণবাদের প্রতিবাদে হাঁটু গেড়ে মুষ্ঠি উঁচু করে ধরেন ক্রিকেটাররা। ছবি: টুইটার
সাউদাম্পটন টেস্টে বর্ণবাদের প্রতিবাদে হাঁটু গেড়ে মুষ্ঠি উঁচু করে ধরেন ক্রিকেটাররা। ছবি: টুইটার
ক্রিকেট মাঠে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ায় আইসিসির দ্বিমুখী নীতি প্রকাশ পেয়েছে, অভিযোগ সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারের


সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের ম্যানেজার চারিথ সেনানায়েকে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন প্রসঙ্গে আইসিসির সমালোচনা করেছেন। সাউদাম্পটন টেস্ট শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা হাঁটু গেড়ে মুষ্টি উঁচু করে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে সমর্থন জানান।


দুই দলের ক্রিকেটাররা ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লেখা জার্সি পরে খেলছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্রেসিং রুমের বাইরে ঝুলছে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ লেখা ক্যারিবিয় পতাকা। ক্রিকেট মাঠে এত কিছুর অনুমতি দেওয়ায় অবাক শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩ টেস্ট ও ৭ ওয়ানডে খেলা সেনানায়েকে।

২০১৬ সালে লর্ডসে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে ব্যালকনিতে পতাকা ঝুলিয়ে দিয়ে কী বিপদেই না পড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার তখনকার ম্যানেজার সেনানায়েকে। রাজনৈতিক মতাদর্শ থেকে পতাকা ঝোলানোর অভিযোগ তোলা হয় সেনানায়েকের প্রতি।

সাউদাম্পটন টেস্টে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদে আইসিসির সমর্থন দেখে তাই চুপ থাকতে পারেননি এই শ্রীলঙ্কান, ‘কীভাবে খেলায় এক হাঁটু গেড়ে সমর্থন জানানো রাজনৈতিক নয়? আমাকে একরকম শাস্তির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল যখন আমি লর্ডসে জাতীয় পতাকা উড়িয়েছিলাম। আমি শুধু দলের ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াতে এটা করি। আম্পায়ারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে যাচ্ছিল,চেয়েছিলাম ছেলেদের সমর্থন জোগাতে।’

লর্ডসে সেদিন খেলা শেষে সেনানায়েকে কে পতাকা নামিয়ে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তিনি পরের দিন ঠিকই পতাকা উড়িয়েছিলেন, ‘দিন শেষে আমাকে পতাকা নামিয়ে ফেলতে বলা হয়। আমি তাদের অনুরোধ রাখতে পারিনি। বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে দলের ক্রিকেটারদের মনোবল ভালো ছিল না। আমরা চেয়েছিলাম ওদের বোঝাতে যে পুরো দেশ তাদের সঙ্গে আছে।’