উত্তর লন্ডনের দখল এখন মরিনহোদের

ইউরোপের স্বপ্ন বেঁচে রইল মরিনহোর। ছবি: এএফপি
ইউরোপের স্বপ্ন বেঁচে রইল মরিনহোর। ছবি: এএফপি

শিরোপা লড়াই বা চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়ার দৌড়ে এই ম্যাচের অতটা গুরুত্ব ছিল না। তাতে আর্সেনাল বা টটেনহামের কি? নগরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ম্যাচ সবসময়েই বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগায় ক্লাব দুটির খেলোয়াড়দের। ম্যাচ জিতলে নিজেদের শহরে কলার উঁচিয়ে হাঁটার একটা লাইসেন্সও পাওয়া যায় যেন! আর সে লাইসেন্সটাই ছিনিয়ে নিয়েছে হোসে মরিনহোর দল।

আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে উত্তর লণ্ডন ডার্বি জিতে নিয়েছে টটেনহাম। আর তাতে লিগ টেবিলে মিকেল আরতেতার দলকে টপকে আট নম্বরে চলে এসেছে স্পার্স। আর্সেনাল পড়ে আছে নয় নম্বরে। আগামী মৌসুমে ইউরোপা লিগ খেলার দৌড়টা ভালোই জমে গেছে এতে।

ম্যাচের শুরুতে কিন্তু তেমন মনে হয়নি। ৩-৪-৩ ছকে নামা আর্সেনাল প্রথম থেকেই বেশ সপ্রতিভ ফুটবল খেলছিল। মনে হচ্ছিল, হোসে মরিনহোকে কৌশলের খেলায় হারানোর জন্য বেশ আঁটঘাট বেঁধেই নেমেছেন আরতেতা। স্পার্সের রাইটব্যাক সার্জ অরিয়েরের এক ভুলের সুযোগ নিয়ে ১৬ মিনিটে আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ফরাসি স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ল্যাকাজেতে। তাঁর ডান পায়ের বুলেটগতির শটটার জবাব জানা ছিল না স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিসের।

প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুল করা দেখে আর্সেনালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দেরও কী একটা হয়ে গেল যেন। তিন সেন্টারব্যাকের মধ্যে বামদিকে ম্যাচ শুরু করা বসনিয়ান ডিফেন্ডার সিদ কোলাসিনাচ ব্যাকপাস দিতে গিয়েছিলেন পাশে থাকা ব্রাজিলের ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজকে। পাস দেওয়ার পরেই দেখেন, লুইজের দিকে বিপজ্জনকভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন স্পার্সের দক্ষিণ কোরিয়ান উইঙ্গার হিউং মিন সন। সে পাসের নাগাল পাননি লুইজ। আর এভাবেই কোলাসিনাচ-লুইজের ভুল বোঝাবুঝির পূর্ণ সুবিধা নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান সন।

গোল খাওয়ার পরেও আর্সেনাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল নিজেদের হাতে। তবে টটেনহামও যে ঝলক দেখায়নি, তা নয়। লেফটব্যাক বেন ডেভিসের দূরপাল্লার এক শট বারে লাগে আর্সেনালের। পরে আস্তে আস্তে ম্যাচে গতিপথ বুঝে নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিতে থাকেন মরিনহোর শিষ্যরা। ৮১ মিনিটে বেলজিয়ান ডিফেন্ডার টোবি অল্ডারভেইরেল্ডের গোলটা তাঁরই প্রমাণ। যে গোল আর শোধ করা হয়নি আর্সেনালের। জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে টটেনহাম।

এ ম্যাচ জেতার মাধ্যমে গোটা ক্যারিয়ারে 'ও' ক্লাসিকো, এল ক্লাসিকো, মিলান ডার্বি, ডার্বি ডি লা ইতালিয়া, ম্যানচেস্টার ডার্বি, লণ্ডন ডার্বির পর নর্থ লন্ডন ডার্বিও জেতা হয়ে গেল মরিনহোর।