এখনো শিরোপার স্বপ্ন দেখে ইন্টার

শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বেঁচে রইল ইন্টারের। ছবি: এএফপি
শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বেঁচে রইল ইন্টারের। ছবি: এএফপি
>গত রাতে তুরিনোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মিলান। ফলে একটু হলেও এখনো ইন্টারের লিগ জয়ের আশাটা বেঁচে আছে

দল পিছিয়ে থাকলে কোচ আন্তোনিও কন্তে বিরতির সময় নিশ্চয়ই খেলোয়াড়দের কোনো না কোনো টনিক দেন। না হয় প্রতিবার পিছিয়ে পড়ার পরও ইন্টার এমন দোর্দণ্ড প্রতাপে ফিরে আসে কী করে!

এসি মিলানের বিপক্ষে ম্যাচটার কথাই ধরুন। প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল লাল-কালোরা। বিরতিতে কন্তে কী বলে দলকে অনুপ্রেরণা দিলেন কে জানে, ম্যাচ শেষে দেখা গেল ইন্টার গোল দিয়েছে গুনে গুনে চারটি! এসি মিলানের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচেও প্রথমার্ধ শেষে গোলশূন্য সমতায় ছিল দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল করে ম্যাচ বের করে আনল নেরাজ্জুরিরা। গত রাতেও ইন্টার মিলানের ‘ফিরে আসা’ প্রকল্পের ব্যত্যয় ঘটেনি। প্রথমে আন্দ্রেয়া বেলোত্তির গোলে পিছিয়ে পড়লেও পরে তুরিনোর বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ইন্টার মিলান। ফলে নিভু নিভু প্রদীপের মতো এখনো তাদের লিগ জয়ের আশা টিকে আছে।

ম্যাচের ১৭ মিনিটেই ইতালির স্ট্রাইকার আন্দ্রেয়া বেলোত্তির গোলে এগিয়ে যায় তুরিনো। একাদশে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন বা রোমেলু লুকাকুর মতো তারকারা ছিলেন না। গোল খাওয়ার পর তাই সন্দেহটা আরও জেঁকে বসে, মাঠে থাকা লওতারো মার্তিনেজ ও অ্যালেক্সিস সানচেজ কি গোল করতে পারবেন? সফল লুকাকু-লওতারো জুটি ভেঙে দলে আসা সানচেজ কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন দুর্দান্তভাবে। আর্সেনালে আলো ছড়িয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা চিলির এই উইঙ্গার কন্তের ছোঁয়ায় যে আবারও বদলে যাচ্ছেন, সে প্রমাণ রেখেছেন কাল। ইন্টারের তিন গোলের মধ্যে দুটিতেই তাঁর সহায়তা। যার একটি করেছেন সেন্টারব্যাক ডিয়েগো গডিন ও স্ট্রাইক-সঙ্গী লওতারো। বাকি গোলটা এই মৌসুমেই সানচেজের মতো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ধারে আসা অ্যাশলি ইয়াংয়ের। সে গোলে সহায়তা করেছেন লওতারো।

হাতে আছে আরও ছয় ম্যাচ। শিরোপা জিততে হলে এই ছয় ম্যাচের মধ্যে শীর্ষে থাকা জুভেন্টাসের আট পয়েন্টের অগ্রগামিতা মেটাতে হবে। ইন্টার কী পারবে জুভেন্টাসের আধিপত্য খর্ব করতে?