বিশ্বকাপের ব্যথা এখনো ভুলতে পারছে না নিউজিল্যান্ড

এ দৃশ্য কেই-বা ভুলতে পারে। ফাইল ছবি
এ দৃশ্য কেই-বা ভুলতে পারে। ফাইল ছবি
>স্নায়ুক্ষয়ী সেই ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের এক বছর পূর্তি আজ। শিরোপার একদম হাতছোঁয়া দূরত্বে চলে এসেও খালিহাতে ফিরতে হয়েছিল সেদিন কেইন উইলিয়ায়মসনদের। যে যন্ত্রণার স্মৃতি এখনও দগদগে

সুপার ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা। ক্রিজে মার্টিন গাপটিল আর জিমি নিশাম, ওদিকে বল হাতে ইংল্যান্ডের জফরা আর্চার।

শেষ দুই বলে তখন তিন রান লাগে। মূল ম্যাচে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষটার মতো দৃশ্যপট! পঞ্চম বলে এক রান নিয়ে সমীকরণটা এক বলে দুই রানে নিয়ে এলেন গাপটিল-নিশাম। শেষ বলটা ডিপ উইকেটের দিকে কোনোরকমে ঠেলে পড়িমরি করে ছুট লাগালেন গাপটিল। এক রান পেলেন, দ্বিতীয় রানটা নিতে গিয়ে হয়ে গেলেন রান আউট! ব্যস, সুপার ওভারেও টাই!

এমন ম্যাচে কেউ জয়ী বা পরাজিত থাকে না। তাও, ট্রফি তো কোনো এক দলকে দিতেই হবে, তাই বুঝি আইসিসি নিয়ম করে রেখেছিল, সুপার ওভারের পরেও ম্যাচ টাই হলে যে দল সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারবে, তারাই জিতবে। আর এ হিসাবে ইংল্যান্ড মেরেছে ২৪ বাউন্ডারি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি। অর্থাৎ ইংল্যান্ডই জয়ী। একদম শেষ পর্যন্ত গিয়েও তাই খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কিউইদের।

সে যন্ত্রণা কী এখনও পোড়ায় না তাঁদের? এক বছর পর সে দলের কোচ-খেলোয়াড়দের কথা শুনলে সে নিয়ে আর সন্দেহ থাকার কথা নয়! উইকেটরক্ষক টম লাথামের কথাই শুনুন, 'হ্যাঁ। স্মৃতিগুলো এখনও কষ্ট দেয়। যে যাই বলুক না কেন, আমরা একটুর জন্য জিততে পারিনি সেদিন। আশ্চর্য লাগে, এক বছর হয়ে গেল! আমি নিশ্চিত দুর্ভাগ্যবশত আগামী কয়েকদিন ওই ম্যাচের অনেক ছবি দেখব আমরা।'

সেই দলের কোচ গ্যারি স্টেডের কাছেও অনুভূতি একই রকম, 'কখনো কখনো মনে হয় ঘটনাটা দশ বছর আগের। আবার কখনো মনে হয়, না; মিনিটখানেক আগেই হয়ে গেল কাণ্ডটা। তবে এটাও সত্যি কথা, শেষ এক দুই বল বাদ দিলে ঐ ম্যাচ থেকে আমরা অনেক সুখস্মৃতিও পেয়েছি। তবে সেদিন আমরা যেভাবে লড়েছি তাতে আমরা গর্বিত।'