সিটির দিকে মরিনহোর তির, জবাব দিলেন গার্দিওলাও

পেপ গার্দিওলা ও হোসে মরিনহো । ফাইল ছবি
পেপ গার্দিওলা ও হোসে মরিনহো । ফাইল ছবি
>মরিনহোর চোখে সিটির ইউরোপে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া লজ্জাজনক। তবে গার্দিওলা সমালোচকদের ঘ্যানঘ্যান না করে আদালতে গিয়ে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেছেন।

রয়েসয়ে কথা বলাটা হোসে মরিনহোর ধাতে নেই। ম্যানচেস্টার সিটির চ্যাম্পিয়নস লিগ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কাল আবারও তার প্রমাণ দিলেন টটেনহামের পর্তুগিজ কোচ। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতের (সিএএস) সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ উল্লেখ করে মরিনহো প্রশ্ন তুলেছেন সিটি যদি কোনো দোষ না করেই থাকে তবে ১ কোটি ইউরো জরিমানা হলো কেন।

লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপও সিএএসকে ‘বাজে একটা দিন’ উপহার দেওয়ার জন্য দুষেছেন। তবে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা সমালোচকদের ঘ্যানঘ্যান না করে আদালতে গিয়ে অভিযোগ প্রমাণ করতে বলেছেন।

কাল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো-ক্লপ-গার্দিওলারদের সিটির নিষেধাজ্ঞা নিয়েই বেশি কথা বলতে হলো। মরিনহো যেন প্রস্তুতই ছিলেন সিটির নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া প্রশ্নের উত্তর দিতে, ‘এটা লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত কারণ সিটি যদি দোষী না হয়ে থাকে তবে তাঁদের ১ কোটি ইউরোর শাস্তি কেন। দোষী না হলে তো জরিমানা হবে না। আর তারা দোষী হলেও তো সিদ্ধান্তটা লজ্জাজনক, তাহলে তো তাদের টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। আমি জানি না ম্যানচেস্টার সিটি দোষী কি নির্দোষ তবে যাই হোক এটা লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত।’

প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের কোচ ক্লপ মরিনহোর মতো অতটা আক্রমণাত্মক হননি, ‘আমি কারও কোনো ক্ষতি চাই না। তবে আমার মনে হয় না দিনটা (পরশু) ফুটবলের জন্য ভালো দিন ছিল। আর্থিক সংগতির নীতি (এএফপি) একটি ভালো নিয়ম। কেউ যেন অতিরিক্ত খরচ না করে এবং বৈধ উৎস থেকে অর্থের আগমন নিশ্চিত করতেই নিয়মটা করা।’

গার্দিওলা অবশ্য বললেন সিটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করা উচিত উয়েফার, ‘হোসে (মরিনহো) ও অন্য ম্যানেজারদের জানা উচিত ক্ষতিটা আমাদের হয়েছিল। তাদের উচিত কথা না বলে আদালতে গিয়ে প্রমাণ দেওয়া। আমাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা উচিত (উয়েফার)। আমি আগেও বলেছি আমরা দোষ করে থাকলে উয়েফা ও সিএসের সিদ্ধান্ত মেনে নিতাম।’