দলবদল নিয়ে গার্দিওলাকে খোঁচা মরিনহোর

গার্দিওলাকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ পেয়েই আর তা হাতছাড়া করেননি মরিনহো। ছবি: এএফপি
গার্দিওলাকে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ পেয়েই আর তা হাতছাড়া করেননি মরিনহো। ছবি: এএফপি

প্রতিপক্ষ দলের কোচদের সঙ্গে হোসে মরিনহোর কথার লড়াই নতুন কিছু নয়। আর পেপ গার্দিওলার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে তো চাইলে 'বিশেষ' ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া যায়। ফুটবলে আর্থিক নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ওঠার পরও বিতর্কিতভাবে ম্যানচেস্টার সিটির বেঁচে যাওয়ার পর খোঁচা দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করার পাত্র অন্তত মরিনহো নন। নিজের দলের প্রয়োজনের কথা জানাতে গিয়েও তাই সিটিকে খোঁচা দিলেন টটেনহামের কোচ।

গতকাল হ্যারি কেনের জোড়া গোলে নিউক্যাসলকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম। ইউরোপা লিগে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখা এই জয়ের ম্যাচেও মরিনহোর দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাংবাদিকেরা। সে প্রশ্নের উত্তরে মরিনহো জবাবটা দিয়েছেন চিরপরিচিত ঢঙে, 'আপনারা সব সময় আমাকেই এ প্রশ্ন করেন। কিন্তু কখনো ল্যাম্পার্ড, ক্লপ বা পেপকে করেন না। ল্যাম্পার্ড পুলিসিচকে খেলালে কিন্ত জিজ্ঞেস করেন না হাডসন ওডোইকে নামাচ্ছে না কেন। পেপ বার্নার্দো সিলভাকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখে, কই তাঁকেও তো জিজ্ঞেস করেন না বার্নারদোকে শুরুতে নামাচ্ছে না কেন। একমাত্র আমিই একজন, যার পছন্দ অনুযায়ী খেলোয়াড় নামানোর অধিকার নেই। আমি যদি বার্গউইনকে নামাতাম, তখন বলতেন লুকাস মউরাকে কেন নামালাম না।'

অন্য কোচের মতো তাঁরও যে বড় একটা স্কোয়াড দরকার, প্রয়োজনে খেলোয়ার নামানোর ক্ষমতা থাকা দরতকার সেটা বোঝাতে গিয়েই সিটিকে খোঁচা মারলেন মরিনহো, 'আপনারা নুনোকে জিজ্ঞেস করেন না কেন সে আডামা ট্রায়োরেকে নামায় না। বার্গউইন দলের একজন, সে টটেনহামের হয়ে খেলে। এটা(বদলি নেমে ভালো খেলা) খেলোয়াড় ও দলের জন্য কৃতিত্বের। আমাদের ভালো খেলোয়াড় দরকার এবং সেটা ১১ জনের বেশি। আমাদের বেশ ভালো একটা দল দরকার। আর সেটা যদি ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লের নিয়ম না ভেঙে করতে পারি তো আরও ভালো!'

আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে উয়েফা ম্যানচেস্টার সিটিকে দুই বছরের জন্য ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করেছিল। সে সঙ্গে ৩০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানাও করেছিল। কিন্তু সর্বোচ্চ ক্রীড়া আদালত সে শাস্তি তুলে নিয়েছে। জরিমানাও ১০ মিলিয়নে কমিয়ে এনেছে। এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছিলেন মরিনহো। বলেছেন এটা লজ্জাদায়ক; কারণ, যদি কোনো অপরাধই না করে সিটি, তাহলে ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করারও কোনো মানে হয় না।