টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইপিএলের ভাগ্যে নতুন মোড়?

বিশ্বকাপ না আইপিএল- এ দৌড়ে আইপিএলই এগিয়ে আছে। প্রতীকী ছবি
বিশ্বকাপ না আইপিএল- এ দৌড়ে আইপিএলই এগিয়ে আছে। প্রতীকী ছবি
স্থগিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, দুই মাস পর থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে আইপিএল। এমনটাই জল্পনা-কল্পনা চলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে



করোনা পরিস্থিতিতে একাধিক ক্রীড়া ইভেন্টের ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। বিশেষ করে ক্রিকেটের। এ বছরের শেষ দিকে হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এতদিনে শেষ হয়ে যেত আইপিএলের ত্রয়োদশ মৌসুম। সবকিছুই থেমে আছে করোনার কারণে। কবে হবে টুর্নামেন্টগুলো? কেউ জানে না নিশ্চিতভাবে।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম অনুমান করছে, বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষমেশ স্থগিত হয়ে যাবে। কিন্তু আইপিএল থামবে না। ভারতে না হলেও, সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত দেবে বিসিসিআই, এমন জল্পনা-কল্পনাই চলছে ভারতের ক্রিকেটমহলে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল হতে বেশি দেরি নেই আর। এই সেপ্টেম্বরেই আয়োজন করা হবে আইপিএল। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়টায় আয়োজন করা হবে টুর্নামেন্টটি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলবেন। ফলে আইপিএলে খেলতেও সমস্যা হবে না তাঁদের।

২০২০ আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে চার হাজার কোটি রুপি লোকসানে পড়বে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্ষতি হবে ন্যূনতম ১০০ কোটি রুপি। তাই যে করেই হোক, আইপিএল আয়োজন করতে চাইছে ভারত। জানা গেছে, আইপিএলের আট মালিকপক্ষ এই সপ্তাহের শুরুতে সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, বিদেশে আইপিএল আয়োজন করা হলে কারওর কোনো সমস্যা নেই। প্রতি আসরে অন্তত চার হাজার কোটি রুপি করে লাভ হয় বিসিসিআইয়ের, বৈশ্বিক সম্প্রচার স্বত্ব ও স্পনসরদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ মিলিয়ে। যার বেশ বড় অংশ যায় আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির পকেটে। কেউই ১০০-১৫০ কোটি রুপির কম পায় না।

এর আগেও যে বিদেশে আইপিএল হয়নি, তা নয়। আইপিএলের দ্বিতীয় মৌসুমই হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আইপিএলের এক অংশ হয়েছিল সংযুক্ত আমিরাতেই।