৯ গোলের পর এবার নেইমাররা দিলেন ৭ গোল

প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসাচ্ছেন নেইমাররা। ছবি: এএফপি
প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসাচ্ছেন নেইমাররা। ছবি: এএফপি

লিগ থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ আগে। কিন্তু আগস্টেই শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এতদিন না খেললে যে খেলায় মরচে পড়ে যাবে-এ দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছিল ফ্রেঞ্চ লিগ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে। তাই করোনাকালে দর্শকের সামনেই প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করছে দলটি। আর প্রীতি ম্যাচে প্রতিপক্ষকে অপ্রীতিকর স্বাদ উপহার দিয়ে যাচ্ছেন নেইমাররা। গতকাল ওয়াসলান্দ-বেভেরেনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।

পিএসজির প্রতিপক্ষ দলের নাম শুনে চিনতে না পারলে নিজেকে দোষী ভাবার কিছু নেই। প্রীতিম্যাচে অখ্যাত প্রতিপক্ষকেই ডেকে আনছে তারা। গত সপ্তাহে লিগ টুর লে হাভরেকে ৯-০ গোলে হারিয়েছিল পিএসজি। এবারও দ্বিতীয় বিভাগের দলের বিপক্ষে খেলেছেন নেইমাররা। বেভেরেন বেলজিয়ামের দ্বিতীয় বিভাগের দল।

কাল পার্ক দে প্রিন্সেসে ২১ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ৭ মিনিট পর পেনাল্টি থেকে গোল করেন নেইমার। ৪৪ মিনিটে আবার পেনাল্টি পায় পিএসজি। এবারও পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন নেইমার। কিন্তু সরাসরি কিক না নিয়ে পাস দেন ইকার্দিকে। গায়ে সেঁটে থাকা দুই ডিফেন্ডারকে পাত্তা না দিয়েই ব্যবধান বাড়ান ইকার্দি।

দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে দুই গোল করেন এরিক ম্যাক্সিম চুপো মোতিং। আর যোগ করা সময়ে দলকে সপ্তম গোল উপহার দেন ডিফেন্ডার মবে সোহ। সাত গোল খেলেও নেইমারদের ছেড়ে কথা বলেনি বেভেরেন। নেইমাররা স্কিলের প্রদর্শনী দেখাতে চাইলেই ফাউল করেছে দলটি। নেইমার স্বীকার করেছেন, এক পর্যায়ে চোটের ভয় পাচ্ছিলেন, 'হ্যাঁ, কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম। প্রীতি ম্যাচ খেলতে এসেছি। এমন কিছু হওয়া ঠিক না। আমরা নিজেদের প্রস্তুত করতে এসেছি কিন্তু সাবধান থাকতে হবে। আমরাও এর পাল্টা জবাব দিয়েছি। সমস্যা নেই কোনো।'

চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন নেইমার, 'আবার ফিরতে পেরে ও নিজেদের স্টেডিয়ামে খেলতে পেরে খুব খুশি। দর্শকও আছে গ্যালারিতে। আমরা ধীরে ধীরে নিজেদের সেরা ফর্মে ফেরার চেষ্টা করছি। তাহলেই ফাইনালে যেতে পারব।'

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির আতালান্তার মুখোমুখি হবে পিএসজি। জিয়ান পিয়েরো গাসপেরিনির দল প্রথাগত ইতালিয়ান ফুটবলে বিশ্বাস করে না। গত মৌসুমে লিগে সর্বোচ্চ গোল করে যে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিল, সেটা ধরে রেখে এবার ৩৩ ম্যাচেই ৯৩ গোল করেছে দলটি। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতেও দুই লেগ মিলিয়ে ৮ গোল করেছে দলটি। নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এমন এক দলের বিপক্ষে খেলার আগে ভালো রক্ষণ না থাকলে গোল করার অভ্যাস থাকাটা তাই জরুরি। নেইমাররা এখন সে কাজটাই করছেন।