জেনে নিন জিদানের সাফল্যের রেসিপি

রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দের উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু জিনেদিন জিদান। ছবি: টুইটার
রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড়দের উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু জিনেদিন জিদান। ছবি: টুইটার

'বার্সেলোনাকে শিরোপা দিয়ে দেওয়া হোক' করোনাভাইরাসে লা লিগা স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই তুলে ছিলেন এ দাবি। তখন ২৭ ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ২ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে ছিল বার্সা। কিন্তু লিগ পুনরায় শুরুর পর দেখা গেল ১ ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

রিয়ালের এভাবে ৩৪তম লিগ জয়ে মাঠের বাইরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কোচ জিনেদিন জিদান। খেলোয়াড়দের কাছ সেরাটা বের করে আনা তাঁর কোচিংয়ে বড় গুণ। ফরাসি কিংবদন্তির এ গুণের প্রশংসাই করলেন রিয়ালের সহকারী কোচ ডেভিড বেত্তোনি। দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে জিদানের বোঝাপড়াটা নাকি 'অসামান্য।'

জিদানেরই দেশের সাবেক ফুটবলার বেত্তোনি। ফ্রান্সের এক দৈনিককে বেত্তোনি শুনিয়েছেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে জিদানের সম্পর্কের গল্প, 'খেলোয়াড়দের সঙ্গে জিদানের সম্পর্ক অসামান্য। এটা কোনো পদ্ধতি নয়, সে মানুষ হিসেবেই এমন। ড্রেসিং রুমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভীষণ সহজাত। যে কারণে তাঁকে সবাই সম্মান করে।' ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের কাতারে জিদানের নাম খুব সহজেই উঠে আসে। বিশ্বকাপজয়ী জিদানের তাই ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ও খেলোয়াড়দের মানসিকতা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয়।

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে সাফল্য তুলে নিয়েছেন জিদান। ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচে ভিন্ন খেলোয়াড় ও ফরমেশনে দল সাজিয়ে তাক লাগিয়ে দেন তিনি। ব্যবহার করতে জানেন দলের প্রায় সব সদস্যকে, 'সে ( জিদান) জানে তাঁদের ( খেলোয়াড়) সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়। সে যা মনে করে তাই বলেন। সংবাদ সম্মেলনে যদি বলে তাঁর জন্য সব খেলোয়াড়ই গুরুত্বপূর্ণ। তার মানে সত্যিই তাই। সত্য বলা এবং নিরপেক্ষ থাকার মাধ্যমে সে ড্রেসিংরুমের সংঘাতগুলো দমন করে থাকে। এটা কাজে দেয়।'

২০১৬ থেকে ২০১৮ রিয়াল মাদ্রিদ ডাগআউটে প্রথম মেয়াদে লা লিগার সঙ্গে টানা তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন জিদান। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর সার্জিও রামোসদের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছিল। জিদান ফিরতেই রিয়াল আবার চাঙা। জিতে নিল লা লিগা শিরোপা।