কোহলির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম চুক্তি যেভাবে

নাইকির ব্যাটে অনেকদিন খেলেছেন বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার
নাইকির ব্যাটে অনেকদিন খেলেছেন বিরাট কোহলি। ছবি: টুইটার

মালয়শিয়ায় হয়েছিল ২০০৮ অনূধ্র্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সে টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার পথে তা ছিল বর্তমান ভারতীয় অধিনায়কের প্রথম ধাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর প্রথম চুক্তিতেও বড় অবদান সে বিশ্বকাপের।

ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান নাইকির সাবেক ক্রীড়া বিপণন প্রধান যতীন পরাঞ্জপ মুখ ‍খুলেছেন এ নিয়ে। ভারতের হয়ে ৪ ওয়ানডে খেলা যতীন তখন তরুণ সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের খুঁজছিলেন। এক যুগ আগের সেই যুব বিশ্বকাপে তিনি কোহলির পারফরম্যান্স দেখে মুগ্ধ হন।

নাইকিতে ২০০৬ থেকে ২০১২ পর্যন্ত কাজ করেছেন যতীন। তখন ক্রিকেট ব্যাট তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছিল নাইকি। সে সময় (২০০৮) তরুণ কোহলির রান ক্ষুধা দেখে ভীষণ মুগ্ধ হন যতীন। নাইকির স্পনসর চুক্তির জন্য কোহলিকে যোগ্য মনে করেছিলেন তিনি। সে বছরই ভারতের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক ঘটে কোহলির।

গৌরব কাপুরের ইউটিউব শো তে এ নিয়ে যতীন বলেন, 'কোচদের মাধ্যমে তখন অনেক ম্যাচ দেখতাম। ২০০৮ অনূধ্র্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য ভারত দলে কোহলি ছিল তেমন কেউ। তার চোখে (রান) ক্ষুধা ও আত্মবিশ্বাস দেখেছিলাম। কোহলিকে প্রথম সই করাই, পরের দিন তন্ময় শ্রীবাস্তব।'

ক্রিকেট ব্যাটের প্রকল্প সফল করতে একজন উঠতি ব্যাটসম্যান খুঁজছিল নাইকি। সে সময় তাদের চুক্তিতে ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলেন শুধু শ্রীশান্ত। ভারতের হয়ে তখন খেলছিলেন ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়া এ পেসার। যতীনের ভাষায়, 'সে সময় ক্রিকেট অ্যাথলেটদের মধ্যে ছিলেন শুধু শ্রীশান্ত। (পেসার হওয়ায়) নাইকির ব্যাটে এর কোনো প্রতিফলন ছিল না। শুধু পায়ের জুতো পর্যন্তই।'

কোহলিকে নিয়ে যতীনের ভাবনা সফল হয়েছিল। যুব বিশ্বকাপ জয়ের পরপরই নাইকির সঙ্গে স্পনসর চুক্তি করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান। তার আগে বিডিএম-এর লোগোয় কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর নাইকির সঙ্গে বেশ অনেক বছর চুক্তি ছিল কোহলির। যদিও পরে চুক্তির শর্ত ভাঙার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল নাইকি।