পতনের নতুন নজির গড়ল আর্সেনাল

এক সপ্তাহে সিটি-লিভারপুলকে হারিয়েই অবনমন অঞ্চলের অ্যাস্টন ভিলার কাছে হার, এ কেবল আর্সেনালের পক্ষেই সম্ভব! ছবি: টুইটার
এক সপ্তাহে সিটি-লিভারপুলকে হারিয়েই অবনমন অঞ্চলের অ্যাস্টন ভিলার কাছে হার, এ কেবল আর্সেনালের পক্ষেই সম্ভব! ছবি: টুইটার

অমূল্য জয়? তা বলাই যায়। এক ম্যাচ হাতে রেখে অবনমন অঞ্চল থেকে বেরিয়ে এসেছে অ্যাস্টন ভিলা। কাল আর্সেনালকে ১-০ গোলে হারিয়ে অবনমন এড়ানোর লড়াইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচটা 'ফাইনাল' বানিয়ে ফেলেছে ভিলা।

এই ম্যাচের ফলই আবার আর্সেনালের জন্য মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ার মতো। ২৭ মিনিটে হাফ ভলি শটে মিসরীয় তারকা ত্রেজেগে যে গোল করেছেন তা গানার ভক্তদের হৃদয়কেই যেন বিদীর্ণ করেছে। গত ২৫ বছরের মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কখনো এত বাজে মৌসুম কাটায়নি আর্সেনাল। হারের ফলে সেটাই নিশ্চিত হলো।

রোববার ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে আর্সেনাল। জিতলেও অষ্টম থেকে দশমস্থানের মধ্যে থেকে লিগ শেষ করতে হবে মিকেল আরতেতার দলকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম শীর্ষ ছয়ের বাইরে থেকে মৌসুম শেষ করবে আর্সেনাল। ১৯৯৫ সালে ১২তম হয়ে লিগ শেষ করেছিল তারা। সে মৌসুমের মাঝপথে চাকরি হারান কোচ জর্জ গ্রাহাম।

আর্সেনালের মুখ থুবড়ে পড়ার এখানেই শেষ নয়। এবার প্রতিপক্ষের মাঠে মাত্র ৪ ম্যাচ জিতেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে এর আগে একবারই এত বাজে খেলেছে এমিরেটস স্টেডিয়ামের ক্লাবটি (২০১৭-১৮)। এর মধ্যে দুটি জয় এসেছে করোনাভাইরাস মহামারিতে স্থগিত হওয়া লিগ পুনরায় শুরুর পর।

প্রিমিয়ার লিগে এবারের মৌসুমে এ পর্যন্ত ১০ ম্যাচ হারা আর্সেনাল ফিরিয়ে এনেছে বাজে এক স্মৃতিকেও। এ নিয়ে শীর্ষ লিগে টানা তিন মৌসুম ন্যূনতম ১০টি করে ম্যাচ হারল তারা। এর আগে ইংল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় লিগে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে সাতটি করে ম্যাচ হেরেছিল।

অথচ এর আগে সময় বদলানোর ইঙ্গিত ছিল আর্সেনালের খেলায়। এফএ কাপের সেমিতে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে আরতেতার দল। লিগে তারা হারিয়েছে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলকেও। সমর্থকদের তাই পাশে পাচ্ছেন তরুণ কোচ আরতেতা।

ভিলা পার্কে ম্যাচ চলাকালীন আর্সেনাল মালিক স্ট্যান ক্রোয়েঙ্কের বিপক্ষে প্রচারণা দেখা গেছে। 'আরতেতা থাকুক, ক্রোয়েঙ্কে চলে যাক' এমন ব্যানার নিয়ে একটি উড়োজাহাজ উড়েছে ভিলা পার্কের ওপরে। ওদিকে নিচে চলা ম্যাচে স্বাগতিকদের গোলপোস্টে কোনো শটই নিতে পারেননি পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংরা।