পাকিস্তানের হয়ে না খেলতে পারার কষ্ট দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারের

জন্মভূমির হয়ে না খেলার আক্ষেপ ইমরান তাহিরের। ফাইল ছবি
জন্মভূমির হয়ে না খেলার আক্ষেপ ইমরান তাহিরের। ফাইল ছবি
>দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে টেস্ট , ওয়ানডে ও টি টোয়েন্টি খেলেছেন। অথচ পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারার কষ্ট পোড়ায় তাঁকে।

পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম ইমরান ইমরান তাহিরের। বেড়ে ওঠাও সেখানেই। কিন্তু তাহির ছিলেন যাযাবর ক্রিকেটার। একের পর এক দল পাল্টে খেলেছেন বিভিন্ন ঘরোয়া লিগে। শেষ পর্যন্ত এক রমণীর প্রেম ও ভালোবাসা তাঁকে থিতু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভারতীয় বংশোদ্ভূত দক্ষিণ আফ্রিকান সেই মেয়ে সুমাইয়া দিলদারকে বিয়ে করে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশটিকেই আপন করে নিয়েছেন তিনি। এর পরে ২০০৯ সালে ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক।

প্রোটিয়াদের হয়ে তাঁর ভান্ডারে কত সাফল্যই না ধরা দিয়েছে। কিন্তু শিকড় কি ভোলা যায় ? তা যায় না বলেই তো এখনো পাকিস্তানের জার্সিতে না খেলতে পারার হতাশায় ভোগেন তাহির। পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব- ১৯ জাতীয় দলের হয়ে খেলা হলেও মূল জাতীয় দলে না খেলতে পারার কষ্ট তাঁকে এখনো পোড়ায়।

পাকিস্তানি এক চ্যানেলের কাছে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেছেন অবসরে যাওয়া ৪২ বছর বয়সী তাহির , ‘আমি লাহোরে ক্রিকেট খেলতাম এবং সেখানে থাকার জন্য এইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমি আমার ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় পাকিস্তানে খেলেছি। কিন্তু সেখানে সুযোগ না পাওয়ায় আমি হতাশ। ’

উপায়ান্তর না দেখেই এক প্রকার হাল ছেড়ে দিয়ে পাকিস্তান ছেড়ে ছিলেন তাহির। ‘ভাগ্যিস’ ছেড়েছিলেন! না হলে কী আর কোনো দেশের জাতীয় দলের হয়ে খেলা সৌভাগ্য হতো তাঁর। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ায় স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি , ‘পাকিস্তান ছাড়া আমার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু ঈশ্বরের আশীর্বাদে ও দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে পারার মূল কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর।’

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেই অবসরের ঘোষণা দেন তাহির । এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে ১০৭ ওয়ানডেতে ১৭৩ উইকেট , ৩৮ টি টি টোয়েন্টি খেলে ৬৩ উইকেট এবং ২০ টি টেস্ট খেলে ৫৭ টি উইকেট পেয়েছেন তাহির।