১৯৯৯ বিশ্বকাপে 'স্থানীয় দলের' মতো খেলেছে পাকিস্তান

ফাইনালে বাজেভাবে হেরেছিল পাকিস্তান। ছবি: টুইটার
ফাইনালে বাজেভাবে হেরেছিল পাকিস্তান। ছবি: টুইটার

ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে পাকিস্তান। যদিও একপেশে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল তারা। শুধু ফাইনালই নয়, পুরো বিশ্বকাপেই পাকিস্তান স্থানীয় দলের মতো খেলেছে বলে মনে করেন আমির সোহেল। পাকিস্তানের সাবেক এ অধিনায়ক তোপ দেগেছেন মূলত সে বিশ্বকাপে দলের ম্যানেজমেন্টকে।

পাকিস্তান দলে সেবার কোনো পেশাদারি মনোভাব ছিল বলে মনে করেন না সোহেল। যদি সেটা থাকত তাহলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারত বলে মনে করেন সাবেক এ ওপেনার। বিশ্বকাপের শুরুতে টানা চার ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। এরপর টানা তিন ম্যাচে হারে দলটি। সে তিনটি হারের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের কাছে হেরে যাওয়ার মতো অঘটনও।

পরে অবশ্য ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। সোহেল মনে করেন, ওই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নও হতে পারত পাকিস্তান। টিম ম্যানেজমেন্টের অপেশাদারি মনোভাবের কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি মনে করেন তিনি। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই একাদশে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। এ ছাড়া ব্যাটিং অর্ডারেও বারবার রদবদল করায় দলের ভারসাম্যই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সোহেল বলেন, ‌‘আমার ক্রিকেটীয় অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণ থেকে বলতে পারি পুরো বিশ্বকাপটাই আমরা স্থানীয় দলের মতো খেলেছি। এক ম্যাচে একটা লাইনআপ নিয়ে খেলেছি তো পরের ম্যাচ অন্য। পরিবর্তন করা হয়েছে ব্যাটিং লাইনআপও। প্রথম ম্যাচ থেকে স্কোরকার্ডগুলো দেখলেই আপনি এটা বুঝতে পারবেন।’

সোহেলের মতে সেই বিশ্বকাপে একদমই ছন্দে ছিলেন না পাকিস্তানের অন্যতম দুই সেরা ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদ ও ইনজামাম-উল-হক। মোহাম্মদ ইউসুফ ফর্মে থাকলেও তাঁকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে মনে করেন সোহেল। পরিসংখ্যানও একই কথা বলে। সেই বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে একটি ফিফটিসহ ১৭৬ রান করেছিলেন ইজাজ। দুটি ফিফটিসহ ইনজামামের রান ছিল ২৫৪। আর ইউসুফ দলে জায়গা পেয়েছেন মাত্র চার ম্যাচে, ৫৩.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬১ রান।

আমির সোহেলের কথা, ‌‘১৯৯৯ বিশ্বকাপে মিডল অর্ডারে রান পাচ্ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ। কিন্তু দলে আসা-যাওয়া করছিল সে। সেই বিশ্বকাপের স্কোরকার্ডগুলোয় চোখ রাখলে দেখবেন (পাকিস্তানের) মিডল অর্ডার ক্লিক করছিল না।’ এমন ক্ষেত্রে ইউসুফকে নিয়মিত একাদশে রাখা উচিত ছিল বলে মনে করেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগের বছর পর্যন্ত পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া সোহেল।