দুপুরে ভোজের আগে পাল্টাপাল্টি লড়াই

রোস্টন চেজের সরাসরি থ্রো–তে রান আউট হন জো রুট। ছবি: এএফপি
রোস্টন চেজের সরাসরি থ্রো–তে রান আউট হন জো রুট। ছবি: এএফপি

ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারিতে কোনো দর্শক নেই। তাতে কী! ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচের আবেদন করোনার মধ্যে ফাঁকা গ্যালারি দেখে বোঝা যাবে না। বিবিসি টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে আজ এক সময় ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্ট সরাসরি দেখছিলেন ৮০ হাজার দর্শক। তাঁদের মধ্যে ইংলিশ দর্শকদের মধ্যাহ্নভোজটা তেমন ভালো হওয়ার কথা না। না, প্রথম সেশনে ইংল্যান্ডে যে বাজে ব্যাট করেছে তা-ও না। টপ অর্ডারদের কাছ থেকে যেমন প্রত্যাশা ছিল সেটি পূরণ হয়নি।

কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েলদের নিয়ে টস জিতে বোলিংয়ে নেমেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। সকালের সেশনে শুরু থেকেই চনমনে ছিল সফরকারি দল। সেটি বোঝা গেল মাঠের ফিল্ডিংয়ে। দ্বিতীয় টেস্টে শেষ সকালের সেশনে বেন স্টোকসের ক্যাচ ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ করে দিয়েছিলেন জন ক্যাম্পবেল। আজ সকালের সেশনে ইংলিশ ওপেনার ররি বার্নসকে আরেকটু হলে রানআউট করে ফেলেছিলেন সেই ক্যাম্পবেলই। শুধু ক্যাম্পবেল নয় মাঠে চাঙা ছিলেন ক্যারিবীয়দের সবাই। সে ধারাবাহিকতায়ই রান আউট ইংলিশ ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ জো রুট।

আজ প্রথম দিনে মধ্যাহ্নভোজের আগে ২ উইকেটে ৬৬ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ইংলিশ ওপেনার ডম সিবলিকে তুলে নিয়েছেন পেসার কেমার রোচ। কোনো রান না করে আউট হওয়া সিবলি কেন রোচের ভেতরে ঢোকানো বল আড়াআড়ি পায়ে খেলতে গেলেন সেটি কৌশলগতভাবে বড় প্রশ্ন। প্রথম ওভারের শেষ বলে সিবলিকে হারানোর পর অধিনায়ক রুটের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েছিলেন বার্নস। ‘মাউন্টেন ম্যান’ রাকিম কর্নওয়ালের স্পিনে গালি অঞ্চলে বল ঠেলে রান চুরি করতে গিয়ে রোস্টন চেজের শিকার হন রুট। বার্নস বলটি খেলে প্রান্ত বদল করলেও চেজের সরাসরি থ্রো-তে রান আউট হন রুট (১৭)। এরপর বেন স্টোকসের সঙ্গে সকালের সেশনে বাকি সময় কাটিয়ে দেন বার্নস (৩৩*)।

সকালে শুরু থেকেই বল ভালো জায়গায় ফেলছিলেন রোচ। তবে দেখার মতো সুইং পেয়েছেন জেসন হোল্ডার। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে জায়গামতো ফেলে ছোট ছোট আউট সুইংয়ে বল বের করেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। সব মিলিয়ে সকালের সেশনে ভালোই লড়েছে দুই দল। উইজডেন ট্রফির এই শেষ টেস্টে জয়ী দল সিরিজই জিতে নেবে। আপাতত ১-১ ব্যবধানে সমতায় দুই দল। তবে এ দুটি দলের পরের টেস্ট সিরিজে নাম পাল্টে যাবে। উইজডেন ট্রফির জায়গায় আসবে রিচার্ডস–বোথাম ট্রফি।