বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর - কোয়ারেন্টিন কত দিন

২০১৯ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষবার শ্রীলঙ্কা সফরে যায় বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবির সৌজন্যে।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে সর্বশেষবার শ্রীলঙ্কা সফরে যায় বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবির সৌজন্যে।

২০২০ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে (এসএলসি) নতুন করে আলোচনা বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে। আলোচনা এগোচ্ছে ইতিবাচকভাবেই। সফরের তারিখ নির্ধারিত হতে একটু সময় লাগছে কোয়ারেন্টিনের সীমাটা নির্ধারণ করা নিয়ে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী কাল প্রথম আলোকে বললেন, ‘সেপ্টেম্বর–অক্টোবরের যেকোনো একটা সময়ে সফরটি হতে পারে। আবার অক্টোবর–নভেম্বরেও হতে পারে। এটা নিয়ে এখনো কাজ করছি। সফরটি কবে হবে, তা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।’

দুই পক্ষে বেশি আলোচনা হচ্ছে কোয়ারেন্টিন নিয়ে। কোভিড–১৯ মহামারিতে যেকোনো সফরেই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক। শ্রীলঙ্কা সফরে কোয়ারেন্টিনের সময়টা কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বিসিবি ও এসএলসি। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কোয়ারেন্টিন কমে আসতে পারে। আমাদের এখান থেকে কোভিড–১৯ পরীক্ষা করে যেতে হবে। ওখানে গিয়েও আবার পরীক্ষা করাতে হবে। ওরা ৬ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফল দেবে। পরীক্ষার ফল পাওয়ার (সবাই নেগেটিভ হলে) পরই যেন আমরা কার্যক্রম শুরু করতে পারি, সেটা দেখা হচ্ছে। সফরে সবার চলাফেরা সীমাবদ্ধ থাকবে।’

কোয়ারেন্টিনের সময় কমিয়ে আনার চিন্তা করলেও নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় পৌঁছানোর ১৪ দিনের মধ্যে সেখানকার কোনো দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারবে না। বিকল্প হিসেবে বিসিবি চাইছে একই সময়ে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের শ্রীলঙ্কা সফরটাও করিয়ে ফেলতে। এতে নিজেদের মধ্যে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা যাবে। বিসিবির প্রধান নির্বাহীর যুক্তি, ‘১৪ দিনের মধ্যে আমাদের খেলোয়াড়েরা ওদের খেলোয়াড়দের সংস্পর্শে যাবে না। তবে সুযোগ–সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে। আমাদের এইচপি দলটা যদি ওখানে একই সময়ে থাকে, তাহলে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারব। এটা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। আমরা কোয়ারেন্টিনের সময়টা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’

আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে সফরে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। এসএলসি বিসিবিকে প্রস্তাব দিয়েছে টি–টোয়েন্টিও যোগ করার। বিসিবি প্রস্তাবটি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তিন টেস্টের একটি কমে যেতে পারে। যোগ হতে পারে তিনটি কিংবা পাঁচটি টি–টোয়েন্টি।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশ হয়তো ক্রিকেটে ফিরবে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই। সে ক্ষেত্রে প্রিমিয়ার লিগের ভবিষ্যৎ কী, সেটা একটা প্রশ্ন। নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘একটা জায়গা থেকে আমাদের শুরু করতেই হবে। এ মুহূর্তে বিদেশে সফর করাটাই তুলনামূলক সহজ। করোনার মধ্যে ঘরোয়া লিগ চালু করা সে তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জিং। আন্তর্জাতিক সিরিজ হলে আমাদের খেলাটা তো শুরু হবে। তখন ঢাকা লিগও শুরু করা সহজ হবে।’