'জিদান' হতে জুভেন্টাসে ফিরছেন পিরলো?

আন্দ্রে পিরলো।
আন্দ্রে পিরলো।

ওল্ড লেডিদের হয়ে আবার ফিরছেন ‘ওল্ড হিরো’। আন্দ্রে পিরলোর কথাই হচ্ছে। তিনি আবারও ফিরছেন জুভেন্টাসে। না, অবসর ভেঙে খেলোয়াড় হিসেবে নয়। ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এ তারকা ফুটবল শিল্পী তুরিনে ফিরছেন কোচ হিসেবে। জুভেন্টাসের যুবদলের দায়িত্ব নিয়ে। খেলোয়াড় হিসেবে যে ক্লাবে কাটিয়েছেন সাফল্যময় কিছু মৌসুম, সে ক্লাবেরই ভবিষ্যতের নায়কদের তৈরি করবেন তিনি।

২০১৭ সালে অবসরে গিয়েছিলেন। এ প্রথম তিনি কোচ হিসেবে ফুটবলে আসছেন। সাবেক তারকারা কোচ হলে যে কী করতে পারেন তার বড় উদাহরণ তৈরি করেছেন জিনেদিন জিদান। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হিসেবে ইতিহাস গড়া জিদানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পিরলো করতে পারেন কিনা, দেখার বিষয় এখন সেটিই।

জুভেন্টাসে খেলোয়াড় হিসেবে এসেছিলেন ২০১১ সালে। এর আগে এসি মিলানের হয়ে মাতিয়েছেন। নয় বছর আগে ‘ফ্রি ট্রান্সফারে’র সুযোগ নিয়ে জুভেন্টাস মিলান থেকে পিরলোকে নিয়ে এসে যে কী লাভবান হয়েছিল, সেটা ইতিহাসই বলে দেয়। ২০০৩ সাল থেকে সিরি ‘আ’ শিরোপার দেখা না পাওয়া জুভেন্টাসকে তিনি এনে দিয়েছিলেন টানা চারটি লিগ শিরোপা। দুটি সুপারকোপা ও একটি কোপা ইতালিয়ার শিরোপা তো আছেই। মাত্র ৪ মৌসুম জুভেন্টাসের হয়ে খেলেই স্মরণীয় হয়ে আছেন মধ্যমাঠের এ অনুপম ফুটবল শিল্পী। এখন তাঁর কোচ হিসেবে কিছু দেওয়ার পালা। কোচ হিসেবে জুভেন্টাসের চাওয়াটা ওই নতুন দিনের ফুটবলার তৈরিই।

জুভেন্টাস সম্প্রতি টানা নবম মৌসুম লিগ জিতেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, পাওলো দিবালারা মাতাচ্ছেন দলটির হয়ে। কিন্তু সিরি ‘সি’-তে জুভ যুব দলটির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গত মৌসুম দশম স্থানে থেকে শেষ করেছে তারা। সিরি ‘সি’তে কোপা ইতালিয়া ট্রফি জিতলেও ব্যর্থ হয়েছে সিরি ‘বি’তে পা রাখতে। সিরি ‘বি’তে ওঠার লড়াইয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের প্লে অফে হেরেছে তারা। পিরলোর প্রথম লক্ষ্য এটিই। দলকে ওপরের স্তরে নিয়ে যাওয়া। কোচ হিসেবে তিনি সহযোগিতা পাবেন জুভেন্টাসের সাবেক গোলরক্ষক মার্কো স্তোরারিকে। স্পোর্টিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন স্তোরারি।

পিরলোর ক্যারিয়ার সমৃদ্ধিতে ঠাসা। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ইতালির শিরোপা জয়ের পথে অন্যতম প্রধান সৈনিক ছিলেন তিনি। এসি মিলানের হয়ে হয়েছেন ইউরোপ-সেরা, দুবার জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। জিদানও রিয়ালের ‘বি’ দলের কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এখন তিনি কেবল মাদ্রিদকে সাফল্য এনে দেওয়া কোচই নন, বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচও। পিরলো সে পথে হাঁটলে তা ফুটবল দুনিয়ারই লাভ।