চার দিনের টেস্ট চান না ৭৬ ভাগ ক্রিকেটার

টেস্ট ক্রিকেটকেই সেরা সংস্করণ মানেন ৮২ ভাগ ক্রিকেটার। ফাইল ছবি
টেস্ট ক্রিকেটকেই সেরা সংস্করণ মানেন ৮২ ভাগ ক্রিকেটার। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার জরিপে শতকরা ৭৬ ভাগ ক্রিকেটার বলেছেন তাঁরা চার দিনের টেস্ট ম্যাচের বিপক্ষে

চার দিনের টেস্ট চালু হয়ে গেছে। গত তিন বছরে বেশ কটি চার দিনের টেস্ট দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। ঠাসা সূচির মধ্যে সময় বের করতে ভবিষ্যতে সব টেস্ট ম্যাচই চার দিনের করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি। তবে ক্রিকেটাররা ভাবছেন অন্যরকম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন ফিকার এক জরিপে উঠে এসেছে শতকরা ৭৬ ভাগ ক্রিকেটারই বিরোধিতা করছেন চার দিনের টেস্টের।

প্রতি দুবছর পর পর ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে জরিপ করে ফিকা। সেই জরিপেই শতকরা ৮২ ভাগ ক্রিকেটারই বলেছেন টেস্ট ক্রিকেটই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে টেস্ট ক্রিকেটকে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে উপায় খুঁজে বের করতে বলেছেন তাঁরা। প্রায় ৮২ ভাগ ক্রিকেটারই বলেছেন তাঁরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে উত্তরণ ও অবনমন চান।

২৭৭ জন ক্রিকেটার অংশ নিয়েছেন এই জরিপে। তাঁদের শতকরা ৫৮ ভাগই মনে করেন যথেষ্ট পরিমাণ টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে না। শুধু চার দিনের টেস্টই নয়, দিবারাত্রির টেস্টের বিপক্ষেও মত দিয়েছেন বেশির ভাগ ক্রিকেটার। শতকরা ৫৫ ভাগই বলেছেন প্রতি সিরিজেই বাধ্যতামূলকে ভাবে একটি দিবারাত্রির টেস্ট রাখার পরিকল্পনার বিপক্ষে তাঁরা।

টেস্ট ক্রিকেটকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংস্করণ বললেও ওয়ানডে বিশ্বকাপকেই ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আয়োজন মানছেন শতকরা ৮৬ ভাগ ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপে মাত্র ১০ দলের খেলাটাকেও মানতে পারছেন না অর্ধেকের বেশি খেলোয়াড়। শতকরা ৫৫ ভাগ ক্রিকেটারের মনে করেন ওয়ানডে বিশ্বকাপ ১০-এর বেশি দল নিয়েই আয়োজিত হওয়া উচিত।

ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগগুলো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে কতটা হুমকির মুখে ফেলেছে জরিপে উঠে এসেছে সেটিও। জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকের বেশি ক্রিকেটার (৫৩ ভাগ) বলেছেন ঘরোয়া লিগগুলো আর্থিকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী হলে সেগুলোতে খেলতে দরকার হলে যার যার দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তি বাতিল করতেও রাজি তাঁরা।

তবে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের দলগুলোর দেনা পাওনা মেটানো নিয়ে উদ্বিগ্ন খেলোয়াড়েরা। শতকরা ৩৪ ভাগ খেলোয়াড়ই বলেছেন চুক্তির টাকা-পয়সা নিয়ে তাঁদের বাজে অভিজ্ঞতা আছে। জরিপে টাকা–পয়সা নিয়ে ঝামেলা করা ছয়টি লিগের নামও উঠে এসেছে, যাদের মধ্যে আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল)। অন্য পাঁচটি লিগ হচ্ছে কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি, আবুধাবি টি-টেন, কাতার টি-টেন, ইউরো টি-টোয়েন্টি স্লাম ও মাস্টার্স চ্যাম্পিয়নস লিগ।

খেলোয়াড়দের পাওনা মেটানোর ব্যবস্থা করতে আইসিসিকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে বলেছেন ফিকার প্রধান নির্বাহী টম মোফাট, ‘চুক্তি ভঙ্গ ও খেলোয়াড়দের টাকা-পয়সা না দেওয়ার বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আইসিসির উচিত এ সব মানুষের স্বার্থ দেখা কারণ তাদের বিধি মেনেই খেলছেন তাঁরা। এখনই এ বিষয়ে কিছু করতে হবে।’