ইচ্ছে করে গায়ে থুতু ফেললেই লাল কার্ড!

এভাবে থুতু মেরে আর পার পাবেন না কেউ। ফাইল ছবি
এভাবে থুতু মেরে আর পার পাবেন না কেউ। ফাইল ছবি

জার্মানির স্ট্রাইকার রুডি ফোলার আর ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের সেই ঘটনাটা মনে আছে?

১৯৯০ বিশ্বকাপের কথা। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি পশ্চিম জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস। সে ম্যাচে জার্মানির ফোলারকে থুতু মেরেছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাইকার্ড। মাথা গরমের সে ম্যাচে দুই দলই একে অন্যকে মেরে খেলছিল। যার চূড়ান্ত পরিণতি ওই থুতু মারার ঘটনা। থুতু মারা রাইকার্ড আর থুতু খাওয়া ফোলার দুজনই সে ম্যাচে লালকার্ড দেখেছিলেন। ৩০ বছর আগের সে ঘটনা আজও আন্তর্জাতিক ফুটবলের অন্যতম আলোচিত ব্যাপার হয়ে আছে।

যুগ যুগ ধরে ফুটবলে অনেকবারই এমনটা দেখা গেছে। মাঠে কর্মকর্তাদের কোনো সিদ্ধান্ত বা কোনো প্রতিপক্ষকে পছন্দ না হলে থুতু মারার এই 'সংস্কৃতি' আজকের নয়। এর আগে ইচ্ছে করে থুতু ফেললে রেফারি কিছু বলতেন না। কিন্তু এখন আর থুতু মেরে পার পাওয়া যাবে না। আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) জানিয়েছে ইচ্ছে করে থুতু মারা গালিগালাজ করা বা অশোভন অঙ্গভঙ্গি করার শামিল। কাজেই এখন থেকে ইচ্ছে করে থুতু মারলে দেখতে হবে লাল কার্ড।

লাল কার্ড দেওয়ার আগে রেফারিকে বিবেচনা করতে হবে কাজটা ঠিক কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। যদি বোঝা যায় যে ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছে, তাহলে লাল কার্ড দেখানো হবে। আইএফএবি জানিয়েছে, 'যদি স্পষ্টত ভুলক্রমে কেউ থুতু মারে, তাহলে সে ব্যাপারে রেফারি বিবেচনা করবেন। কোনো শাস্তি দেওয়া হবে না। কিংবা দূরবর্তী কোনো খেলোয়াড়ের দিকে উদ্দেশ্য করেও যদি থুতু মারা হয়, তাও রেফারি কিছু বলবেন না। কিন্তু, দুই খেলোয়াড়ের দূরত্ব যদি অনেক কম থাকে, তাহলে রেফারি শাস্তি দিতে পারবেন।'

এমনিতেই করোনাভাইরাসের কারণে ক্রীড়াঙ্গনে লালা বা থুতুর ব্যাপারে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। থুতু থেকে যেহেতু ভাইরাস ছড়ায়, সেহেতু খেলার মধ্যে যাতে এমন কিছু না হয় যাতে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বদ্ধপরিকর। ক্রিকেটেই যেমন, বোলাররা আর বলে লালা লাগাতে পারবেন না। নতুন এই নিয়ম করার মাধ্যমে ফুটবলও মাঠে অযাচিত থুতু ফেলার বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করল।