চোট তারকা বানিয়েছে ক্রুসকে

ক্যারিয়ারের শুরুর এক দুর্ঘটনা আজকের তারকা হতে সাহায্য করেছে ক্রুসকে। ছবি: টুইটার
ক্যারিয়ারের শুরুর এক দুর্ঘটনা আজকের তারকা হতে সাহায্য করেছে ক্রুসকে। ছবি: টুইটার

ফুটবলারদের জন্য চোটের চেয়ে ভয়ংকর কিছু আর হতে পারে না। সবচেয়ে ফিট ফুটবলার বলে খ্যাতি আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। সেই রোনালদোকেও খেলার ধরন পাল্টাতে হয়েছে এক চোটের কারণে। আর মার্কো রয়েস, ড্যানিয়েল স্টারিজ কিংবা হেসে রদ্রিগেজের মতো অমিত প্রতিভাধর কত খেলোয়াড় তো নিজেদের ক্ষমতার এক ফোঁটাও দেখাতে পারেননি অসময়ের চোটের কারণে। অথচ টনি ক্রুসের দাবি, এক চোটই তাঁকে বর্তমানের তারকা বানিয়েছে!

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয় কিংবদন্তিদের কাতারে নিয়ে গেছে টনি ক্রুসকে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপও জিতেছেন। তবে ফুটবলে তাঁর তারকা হয়ে ওঠা বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতে। এই ক্লাবের একাডেমিতে বেড়ে ওঠা ক্রুস যদিও এখনো ভালোবাসেন বায়ার লেভারকুসেনকে। মিউনিখ থেকে ধারে খেলতে গিয়ে এখানেই নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। আর সেখানে কাটানো সময় এতটাই উপভোগ করেছিলেন যে, নিজের বিদায়ী ম্যাচের একাদশের জন্য রোনালদো-মুলার-রামোসদের সঙ্গে দুই লেভারকুসেন সতীর্থকেও রেখেছেন।

এ কারণেই হয়তো নিজের ক্যারিয়ার বদলের পেছনে চোটের ভূমিকাকেও বড় করে দেখছেন ক্রুস। 'এইনফাচ মাল লুপেন'-পডকাস্টে এসে সমর্থকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, আর শুনিয়েছেন নানা অজানা সব গল্প। সেখানেই জানা গেল ১২ বছর আগের সে ঘটনার কথা।

বায়ার্ন মিউনিখে যাওয়ার আগে রোস্টকের একাডেমিতে ছিলেন ক্রুস। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পায়ে চোট পান। ১৮ বছর বয়সী ক্রুসের লিগামেন্টই ছিড়ে গিয়েছিল। তিন মাস বসে ছিলেন মাঠের বাইরে। কিন্তু বায়ার্নের ডাক্তার যখন কারণ জিজ্ঞেস করেছিলেন, তখন সত্যিটা জানাননি, বলেছিলেন অনুশীলনে দৌড়ানোর সময় পড়ে গিয়েছিলেন, 'আজকের আগে এটা কোথাও শোনেননি আপনারা। যখন পরীক্ষায় দেখা গেল, আমার লিগামেন্ট ছিড়েছে, তখন আর বলতে চাইনি যে ফুটবল খেলার কারণে এটা হয়েছে। এতদিন পর বলছি, কারণ এখন তো আর কেউ শাস্তি দিতে পারবে না।'

২০০৮/০৯ মৌসুমে বায়ার্নের মূল একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না ক্রুস। ১৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারকে স্কোয়াড খেলোয়াড় হিসেবেই দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এই চোটের ফলে লেভারকুসেনে ধারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে, 'আমার মনে হয় না যদি ফিট থাকতাম বায়ার্ন আমাকে যেতে দিত। আমি এর আগে এমনিতে খুব বেশি খেলেনি , এর ফলে সবকিছু আমার পক্ষে চলে এল। আমাকে লেভারকুসেনে পাঠানো হলো।'

ধারে খেলতে গিয়ে এতটাই দুর্দান্ত খেলেছিলেন যে ২০১০ বিশ্বকাপের জার্মান স্কোয়াডেই জায়গা মিলেছিল ক্রুসের। এবং বায়ার্নও ক্রুসের মূল্য বুঝে ফিরিয়ে এনে মূল একাদশেই জায়গা করে দিয়েছিল তাঁকে।