নতুন বলে অসাধারণ পাকিস্তানি গতি তারকারা
পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিং শক্তি নিয়ে প্রশ্ন কখনোই ছিল না। প্রশ্ন ছিল কেবল তাদের সেই শক্তির ব্যবহার নিয়ে। কিন্তু কাল ওল্ড ট্রাফোর্ড শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আব্বাসদের বোলিং দেখে সেই সন্দেহ দূর হয়ে যেতে বাধ্য ক্রিকেটপ্রেমীদের। নতুন বলের কী অসাধারণ ব্যবহারটাই না দেখা গেল ম্যানচেস্টারের ঐতিহাসিক ক্রিকেট মাঠটিতে।
শাহীন আফ্রিদি, নাসিম, আব্বাসরা কাল সত্যিকার অর্থেই নিজেদের ফজল মাহমুদ, ইমরান খান, সরফরাজ নেওয়াজ, ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসদের যোগ্য উত্তরসূরি প্রমাণ করলেন। ইংল্যান্ডের প্রথম তিন উইকেট তাঁরা তুলে নিলেন ১২ রানের ভেতর। ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার দারুণভাবে উপভোগ্য হলো এই তিন ফাস্ট বোলারের দুর্দান্ত গতি, সুইং আর নতুন বলের ঝলকে। একটি উইকেট অবশ্য পেয়েছেন লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ। কিন্তু ফাস্ট বোলাররা ছিলেন অন্যমাত্রায়। আফ্রিদি নিয়েছেন একটি, আব্বাস পেয়েছেন দুটি উইকেট। ৩০ বছর বয়সী আব্বাস নিজেকে চিনিয়েছেন আলাদাভাবে। তিন ফাস্ট বোলারের বোলিংয়ের তিন ধরন মুগ্ধতা ছড়িয়েছে কাল ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
দিন শেষ কোচ মিসবাহ-উল-হক পাকিস্তানি ফাস্ট বোলিংয়ের প্রত্যাশা পূরণের কথাই বলছেন, ‘আমার ফাস্ট বোলাররা আজকে সবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে।’
ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর কেড়েছে পাকিস্তানের তিন ফাস্ট বোলার যেভাবে নতুন বল ব্যবহার করেছেন, সেটি। নতুন বলে টেস্ট প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজটা তাঁরা করেছেন। শান মাসুদের সেঞ্চুরি আর বাবর আজমের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের কল্যাণে এর আগে নিজেদের স্কোরবোর্ডে তোলা ৩২৬ রানটাকে এখন অনেকটাই স্বস্তির মনে হচ্ছে পাকিস্তানের কাছে। মিসবাহ সেটিই বলেছেন, ‘নতুন বলে উইকেট তুলে নেওয়ার বিকল্প নেই। বিশেষ করে প্রতিপক্ষের নাম যখন ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিং করে ৩২৬ রানটা কিন্তু যথেষ্ট কিছু নয়। সুতরাং ফাস্ট বোলারদের জ্বলে ওঠার সময় ছিল এটিই। নতুন বলে তাঁরা সে কাজটিই করে দেখিয়েছে। দলকে নিয়ে গেছে সুবিধাজনক অবস্থানে।’