হরভজনের বলে গিলি আউট হলেই একটা শব্দ ভেসে আসত

একটা সময়ে জমজমাট দ্বৈরথ ছিল হরভজন সিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। ফাইল ছবি
একটা সময়ে জমজমাট দ্বৈরথ ছিল হরভজন সিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। ফাইল ছবি

চিরশত্রু? সে তো বটেই। দ্বৈরথের পাল্টাপাল্টি উত্তাপ ছড়াতেন দুজন। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট নিজেই সে কথা বলেছেন গত বছর। হরভজন সিংয়ের সঙ্গে তাঁর মাঠের সেই দ্বৈরথ এখন স্মৃতির পাতায়। গিলি স্মৃতি খুঁড়েই তুলে আনলেন সে সব কথা।

ভারত সফর নিয়ে গিলির স্মৃতির শেষ নেই। সেই যে ২০০১ সালের বিখ্যাত সফর, অস্ট্রেলিয়ার টানা ১৫ টেস্ট জয়ের রথ মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভারতে; তখন থেকেই হরভজনের সঙ্গে গিলির দ্বৈরথ আলোচনায় চলে আসে। টিভি উপস্থাপিকা ম্যাডোনা টিসেইরার ‘লাইভ কনসার্ট’ অনুষ্ঠানে সেই দ্বৈরথ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ উইকেটকিপার জানান, হরভজন তাঁকে আউট করলেই ভারতের বাকি খেলোয়াড়রা নির্দিষ্ট একটি শব্দ বলতেন। গিলি অবশ্য সে শব্দটা মনে করতে পারেননি।

‘শব্দটা কি তা মনে নেই। তবে রান করার সময় বলত না। কিন্তু হরভজনের বলে আউট হলেই...ওই কথাটা বলত তারা, ঠিক মনে নেই’—বলেন গিলক্রিস্ট। ২০০১ সালের সেই সিরিজে হ্যাটট্রিকসহ মোট ৩২ উইকেট নিয়ে নিজের ফেরার সিরিজটা স্মরণীয় করে রাখেন ভারতের সাবেক অফ স্পিনার হরভজন। গিলক্রিস্ট এবং রিকি পন্টিংকে সেই সিরিজে ভালোই ঝামেলায় ফেলেছিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার গিলক্রিস্ট, পন্টিং ও ম্যাথু হেইডেনের বিপক্ষে টেস্টে ভালোই সাফল্য পেয়েছেন হরভজন। পন্টিংকে ১০ বার, হেইডেনকে ৯ বার ও গিলক্রিস্টকে ৭ বার আউট করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮ টেস্টে ২৯.৯৫ গড়ে ৯৫ উইকেট নেন ‘টার্বুনেটর’ খ্যাত এ স্পিনার।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পরও ভারতে আইপিএল খেলেছেন গিলি। দেশটি নিয়ে তাঁর রয়েছে দারুণ সব স্মৃতি, ‘মুম্বাইয়ে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দৌড়াতে বের হই। মাথায় হ্যাট, চোখে রোদচশমা, কানে হেডফোন দিয়ে মাথা নিচু করে দৌড়াচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু ক্রিকেটভক্ত আমাকে চিনে ফেলে এবং আমার সঙ্গে দৌড়াতে শুরু করে। সেলফি তুলতে দৌড়াচ্ছিল তারা। খুব মজার স্মৃতি। জানিনা আবার কবে সেখানে যাওয়া হবে, ভারত যেতে উন্মুখ হয়ে আছি।’