রাতে কি ঘুম হবে দুই দলের

প্রথম ইনিংসের ফর্ম দ্বিতীয় ইনিংসে টানতে পারেননি শান মাসুদ। ছবি: টুইটার
প্রথম ইনিংসের ফর্ম দ্বিতীয় ইনিংসে টানতে পারেননি শান মাসুদ। ছবি: টুইটার

জমে উঠেছে ম্যানচেস্টার টেস্ট। তাতে ইংলিশ বোলারদের চেয়ে যেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের অবদানই বেশি! বিশ্লেষকদের মত ধরলে আছে আম্পায়ারদের খানিকটা অবদানও।

প্রথম ইনিংসেই ১০৭ রানের লিড নিয়ে আজ তৃতীয় দিনে ৪৪ ওভার ব্যাট করেছে পাকিস্তান। খেলা আর কিছুক্ষণ গড়ালে হয়তো লক্ষ্যও পেয়ে যেত ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৩৭ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করতে পেরেছে পাকিস্তান।

লিড এর মধ্যেই ২৪৪। লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ (টেস্টে সেঞ্চুরি আছে) এক প্রান্তে ১২ রানে অপরাজিত থাকায় কাল চতুর্থ দিনে লিডটা ন্যূনতম ২৭০ রানের ওপাশে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান। দারুণ পেস ও স্পিন আক্রমণে গড়া পাকিস্তান তখন খেলায় এগিয়ে থাকবে কিছুটা হলেও। প্রথম ইনিংসে ৩২৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। ইংল্যান্ড অলআউট হয় ২১৯ রানে।

তৃতীয় দিনে মোট ১৪ উইকেটের পতন হওয়ায় জমে উঠেছে লড়াই। দ্বিতীয় ওভারে শান মাসুদকে তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের ফেরার শুরুটা করেছিলেন ক্রিস ব্রড। ১০১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মাত্র ৫ রানে বাবর আজমকে ফেরান ওকস। ৩৯ থেকে ৪০তম ওভারের মধ্যে (১১ বল) ২ উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে সফরকারি দল। মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন বেন স্টোকস।

মাঠের আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেয় পাকিস্তান। ভিডিও রিপ্লেতে বল স্টাম্পের বেলস তুলে ফেলায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই রাখেন টিভি আম্পায়ার। সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি ধারাভাষ্যকার মাইকেল হোল্ডিংয়ের, 'সে দূর্ভাগা। বলটা যে স্টাম্পে লাগত তা আম্পায়ার নিশ্চিত হন কিভাবে। এটা আউট না দেওয়া উচিত ছিল।'

ব্রড, স্টোকস ও ওকস, এই তিন পেসার মিলে মূলত খেলায় ফেরান ইংল্যান্ডকে। ২টি করে উইকেট নেন তারা। ১ উইকেট ডম বেসের। সর্বোচ্চ ২৯ রান করা আসাদ শফিক রান আউট হন। প্রথম ইনিংসে রানের খাতা খুলতে না পারা অধিনায়ক আজহার আলী দ্বিতীয় ইনিংসেও হাল ধরতে পারেননি। ১৮ রানে আউট হন তিনি।

ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং অনুযায়ী এ ম্যাচে পাকিস্তান এখনো এগিয়ে। কাল পাকিস্তানের লেজের ব্যাটসম্যানদের যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করা লক্ষ্য হবে ইংলিশ বোলারদের। দুজন লেগ স্পিনার ও তিন প্রতিভাবান পেসার নিয়ে মাঠে নামা পাকিস্তান লিড যতটা সম্ভব বড় করতে চায়।

তাতে বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি আরও বড় হবে। হাতে যে এখনো আরও দুই দিন। এর সঙ্গে যোগ করুন পাকিস্তান দলের গায়ে লেগে থাকা 'অনিশ্চয়তা'র তকমা। প্রথম ইনিংসে তিন শ পার করা দল দ্বিতীয় ইনিংসে দেড় শ তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে। আবার বোলাররাও তৃতীয় দিন শেষে পাওয়া লিড পুঁজি করেই জয় এনে দিতে পারেন, ধারণা বিশ্লেষকদের। টেস্ট তো পাকিস্তানই জমিয়ে তুলছে!