রিয়ালকে দুবার ছিটকে ফেলা তৃতীয় ঘাতক গার্দিওলা

রিয়ালকে হারানোর পর ম্যান সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
রিয়ালকে হারানোর পর ম্যান সিটির কোচ পেপ গার্দিওলার উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স
>কাল শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরে। এই নিয়ে পেপ গার্দিওলার কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ছিটকে গেল রিয়াল।

৩৪টি শিরোপা জিতে স্পেনের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। শুধু কি স্পেন, ইউরোপেরই তো সর্বকালের সেরা দল বলা হয় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটিকে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ১৩বার মাথায় পরেছে তারা। এবার আরেকটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নই দেখছিল রিয়াল। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন উবে গেছে কাল, শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২–১ গোলে হেরে। এই নিয়ে পেপ গার্দিওলার কাছে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট থেকে দ্বিতীয়বারের মতো ছিটকে গেল রিয়াল।

গার্দিওলার হাতে রিয়ালের বিদায় নেওয়া ছাড়াও কাল চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল–ম্যানচটেস্টার সিটি ও জুভেন্টাস–অলিম্পিক লিঁও ম্যাচে অনেক ঘটনাই ঘটেছে। চোখ বুলিয়ে আসা যাক সেই সব পরিসংখ্যানে


চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট থেকে রিয়ালকে দুবার বিদায় করা তৃতীয় কোচ গার্দিওলা। এর আগে এই কীর্তি ছিল মার্সেলো লিপ্পি (১৯৯৫–৯৬ ও ২০০২–০৩) এবং ওটমার হিজফেল্ডের (২০০০–০১ ও ২০০৬–০৭)।


২০০৮–০৯ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের দুই লেগেই হারল রিয়াল। ২০০৮–০৯ মৌসুমে শেষ ষোলোতে লিভারপুলের কাছে দুই লেগেই হেরেছিল তারা।

এক ম্যাচে দুটি ভুল, দল খেয়েছে দুটি গোল। হতাশায় মুখ ঢাকলেন রিয়াল মাদ্রিদের সেন্টার–ব্যাক রাফায়েল ভারান। ছবি: এএফপি
এক ম্যাচে দুটি ভুল, দল খেয়েছে দুটি গোল। হতাশায় মুখ ঢাকলেন রিয়াল মাদ্রিদের সেন্টার–ব্যাক রাফায়েল ভারান। ছবি: এএফপি


২০০৭–০৮ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে দুটি ভুল করে দলকে দুটি গোল খাওয়ানো রিয়ালের একমাত্র খেলোয়াড় রাফায়েল ভারান।


রিয়ালের বিপক্ষে কাল ৯টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে যেটা তাঁর সর্বোচ্চ। ২০০৩ সালের পর রিয়ালের বিপক্ষেও নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোলের সুযোগ তৈরি করাও এই প্রথম। ২০০৮ সালে আন্দ্রেই আরশাভিন রিয়ালের বিপক্ষে এক ম্যাচে ৮টি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন।

গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোল–উৎসব। ছবি: রয়টার্স
গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোল–উৎসব। ছবি: রয়টার্স

প্রথম
২০০২–০৩ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে রুড ফন নিস্টলরয়ের পর রিয়ালের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বের দুই লেগেই গোল করা প্রথম খেলোয়াড় গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

১৫০/১০০
কাল রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যান সিটির ৭৬তম। ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে দলটির ১৫০তম। একই ম্যাচে এই প্রতিযোগিতায় ১০০তম গোল খেয়েছে ইতিহাদের ক্লাবটি। ১৫০ গোল পাওয়া ও ১০০ গোল খাওয়া—দুটিতেই চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংল্যান্ডের দ্রুততম ক্লাব এখন সিটি।

একমাত্র
ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার নকআউট পর্ব থেকে জুভেন্টাসকে ছিটকে ফেলা প্রথম ফ্রেঞ্চ দল অলিম্পিক লিঁও।

ভাগ্য–দুর্ভাগ্য
২০০৩–০৪ মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরিসংখ্যান রাখতে শুরু করেছে অপ্টা। সেই সময় থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের একই ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল করা ও প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি উপহার দেওয়া প্রথম খেলোয়াড় মেমফিস ডিপাই।

লিঁওর বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এএফপি
লিঁওর বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন রোনালদো। ছবি: এএফপি

তৃতীয়
তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল করা তৃতীয় খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। এর আগে এই কীর্তি গড়েছেন জর্গ বাট ও রুড ফন নিস্টলরয়। বাট ভিন্ন তিনটি ক্লাবের হয়ে গোল করেছেন জুভেন্টাসের বিপক্ষে, নিস্টলরয় বায়ার্ন মিউনিখের জালে।