পাকিস্তানের হারে আছে এক 'ঢিলেমি'

ওকসকে একটা বাউন্সার দিল না পাকিস্তানি বোলাররা! ছবি: এএফপি
ওকসকে একটা বাউন্সার দিল না পাকিস্তানি বোলাররা! ছবি: এএফপি

ম্যানচেস্টারে দেখা গেল টেস্ট ক্রিকেটের রোমাঞ্চ। চতুর্থ দিনে এসে পাকিস্তানের পাল্লা ভারী, কিন্তু দিন শেষে জয়ী ইংল্যান্ড। সাতে নামা ক্রিস ওকস খেলেছেন ৮৪ রানের দুর্দান্ত অপরাজিত ইনিংস।

ওকসের ইনিংস ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত। পাকিস্তান তা ধসিয়ে দিতে পারেনি। কেন পারল না, হারের পর সে প্রশ্ন উঠছে। তিন প্রতিভাবান পেসার ও দুজন ভালো লেগ স্পিনার নিয়েও চতুর্থ দিনের উইকেটে ২৭৭ রানের লক্ষ্য নিরাপদ রাখতে পারেনি আজহার আলীর দল। অথচ প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২১৯ রানে বেঁধে ফেলেছিল পাকিস্তান। সেটিও তৃতীয় দিন চা বিরতির আগে। তখন উইকেটও চতুর্থ দিনের চেয়ে ভালো ছিল।

চতুর্থ দিনে ক্ষতবিক্ষত উইকেটে ইংল্যান্ডের জয়ে মূল ভূমিকা রাখেন টপ অর্ডার থেকে বাইরের ব্যাটসম্যান ওকস। মূলত পেস অলরাউন্ডার। তাঁর সঙ্গে জস বাটলারের ১৩৯ রানের জুটি জিতিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। এ জুটি যেমন ইংল্যান্ডের জয়ের চাবিকাঠি তেমনি তাঁদের আউট করতে না পারাকেই পাকিস্তানের হারের কারণ বলে মনে করে ক্যারিবিয়ান পেস কিংবদন্তি মাইকেল হোল্ডিং।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এ বিশ্লেষক এবং ধারাভাষ্যকার। ২৭৭ রান তাড়া করতে নামা ইংল্যান্ড একপর্যায়ে ২ উইকেটে ৮৬ রান তুলে ফেলে। সেখান থেকে ৩১ রান তুলতে হারায় আরও ২ উইকেট। ৫ উইকেটে ১১৭। ওকস-বাটলার এখান থেকে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছেন। বাটলার না হয় স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কিন্তু ওকসকে ফেরাতে না পারার কারণ হিসেবে প্রথম ইনিংসের একটি ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছেন হোল্ডিং। নাসিম শাহর বাউন্সারে ওকসের হেলমেট ভেঙে গিয়েছিল।

হোল্ডিং বলেন, আধুনিক ক্রিকেটে সব দলই প্রতিপক্ষের সব খেলোয়াড়ের দক্ষতা ও দুর্বলতা খুঁজে বের করে। বিশ্লেষণ করা হয়। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ভালো-মন্দ বের করার সময় পাকিস্তান ওকসকে বিবেচনায় রেখেছিল বলে মনে হয় না। তার ব্যাটিং দেখলে ওরা জানত, ওকস অফ স্টাম্পের বাইরের বল পছন্দ করে।

এরপরই পাকিস্তানি পেসারদের ভুলটা ধরিয়ে দেন হোল্ডিং, প্রথম ইনিংসে সে মাথায় আঘাত পেয়েছিল। আর পাকিস্তানও দেখেছে, উঠে আসা (বাউন্স) বল সে ভালো খেলছে না। কিন্তু এরপর তাকে পর্যাপ্ত খাটো লেংথের বল করা হয়নি। যখন এটা শুরু করা হলো, বল ততক্ষণে নরম হয়ে এসেছে আর বোলাররাও ক্লান্ত।

কাল ওকস-বাটলারের ব্যাটিংয়ের সময় পাকিস্তানি পেসারদের বল তুলতে না পারা নিয়ে কথা বলেছেন ধারাভাষ্যকাররা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ওকসকে যত বেশি সম্ভব বাউন্সার না খেলানো নিয়ে পাকিস্তানি পেসারদের সমালোচনা হয়।