না খেলেই আইপিএলের টাকা পেলেন স্টার্ক

অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। ফাইল ছবি
অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক। ফাইল ছবি
আইপিএলের অর্থ পেতে গত বছরের এপ্রিলে মামলা করেছিলেন স্টার্ক। ভিক্টোরিয়ান কাউন্টি আদালতে সেই মামলা এত দিন চলেছে। দুদিন পর আরেকটি শুনানির তারিখ ছিল। এর আগেই স্টার্কের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছে বিমা কোম্পানি

চোটের কারণে ২০১৮ সালের আইপিএলে খেলতে পারেননি মিচেল স্টার্ক। কিন্তু আইপিএলের দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে চুক্তিটির বিমা করা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারের। দুবছর পর তার সুফল পেলেন। ইনস্যুরেন্স কোম্পানির কাছে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার দাবি করেছিলেন স্টার্ক।

আইপিএলের অর্থ পেতে গত বছরের এপ্রিলে মামলা করেছিলেন স্টার্ক। ভিক্টোরিয়ান কাউন্টি আদালতে সেই মামলা এত দিন চলেছে। দুদিন পর আরেকটি শুনানির তারিখ ছিল। এর আগেই স্টার্কের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছে বিমা কোম্পানি। তবে বিমা কোম্পানি স্টার্ককে কত ডলার দেবে সেটা এখনো কোনো পক্ষই প্রকাশ করেনি।

২০১৮ সালে কেকেআরের সঙ্গে স্টার্কের চুক্তিটি ছিল ১৮ লাখ ডলারের। কিন্তু সেবার একটা ম্যাচও খেলতে পারেননি। আইপিএল শুরুর আগে ১০ মার্চ তিনি জানিয়ে দেন, ডান পায়ের পেশিতে ব্যথা অনুভব করছেন। সেই সময় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দ্বিতীয় টেস্টে ঠিকভাবে বোলিংও করতে পারছিলেন না। সমস্যা পরে আরও বেড়েছে এবং তৃতীয় টেস্টে বোলিং করার সময় ডান পায়ের টিবিয়াল হাড় ভেঙে যায়।

বিমার অর্থ পাওয়ার জন্য স্টার্ককে প্রমাণ করতে হতো যে তিনি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একবারই চোট পেয়েছেন। চোটটা কবে ও কোথায় পেয়েছেন সেটাও প্রমাণ করার ছিল। বিমা কোম্পানি মামলার প্রতিটি শুনানিতেই বলে আসছিল মূল চোট স্টার্ক আসলে পেয়েছিলেন পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে। গত মে মাসে স্টার্কের ম্যানেজার অ্যান্ড্রু ফ্রেজার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় টেস্টের ভিডিও ফুটেজ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি ও আদালতকে সরবরাহ করেন। তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে পোর্ট এলিজাবেথে চোট পাওয়ার ঘটনা ঘটেনি আর ইনস্যুরেন্সের অর্থ স্টার্কের প্রাপ্য।

চোটটি যে তৃতীয় টেস্ট চলাকালে ২০১৮ সালের ১০ মার্চই পেয়েছেন সেটা প্রমাণ করতে অর্থোপেডিকের শল্য চিকিৎসক রাসেল মিলারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন স্টার্ক। রাসেল লিখে দিয়েছিলেন, চোটটা স্টার্ক ১০ মার্চই পেয়েছিলেন। কিন্তু বিমা কোম্পানির চিকিৎসক সিমাস ডালটন বলেছেন, চোট আসলে ১০ মার্চই যে পেয়েছেন স্টার্ক তা নয়, চোটের তীব্রতা আসলে ধীরে ধীরে টেস্ট চলাকালে বেড়েছে।’