গার্দিওলা-জিদানদের ছাপিয়ে আমার চোখে ক্লপই সেরা

গায়ে লাল একটা টি-শার্ট। সেই পরিচিত স্মিতহাস্য সৌম্যদর্শন চেহারা। ভিডিও চ্যাটের ও প্রান্তে বসে স্বয়ং ইয়ান রাশ! লিভারপুলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা! করোনাভাইরাস লিভারপুলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ হয়তো দেয়নি, তবে লিভারপুলের স্পনসর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সৌজন্যে সুযোগ হলো রাশের সঙ্গে ভিডিও সাক্ষাতের। প্রথম আলোর পক্ষে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রাজ শুভ নারায়ন চৌধুরী ও নিশাত আহমেদ। তাতে উঠে এল লিভারপুলের অতীত-বর্তমান, তাঁর ক্যারিয়ার। আর এল মেসি-রোনালদো, পেলে-ম্যারাডোনা প্রসঙ্গ।
গার্দিওলা-জিদানদের ছাপিয়ে আমার চোখে ক্লপই সেরা
গার্দিওলা-জিদানদের ছাপিয়ে আমার চোখে ক্লপই সেরা

প্রশ্ন: ৩০ বছর পর লিভারপুলের লিগ জয়ের মুহূর্তটাতে কী রকম লাগছিল আপনার? কীভাবে উদযাপন করেছেন?

ইয়ান রাশ: আমরা লিগ জিতেছি, এই অনুভূতিটা অবিশ্বাস্য। লোকে বলে যখন লিগ জিতেছি তখন আমরা মাঠে ছিলাম না। কারণ চেলসি ম্যানচেস্টার সিটিকে হারানোয় আমাদের লিগ জেতা নিশ্চিত হয়। কিন্তু আমরা ত্রিশ বছর অপেক্ষা করেছি এই শিরোপাটার জন্য। তাই কোথায় জিতেছি, তাতে কিছু যায়-আসে না। লিগ জেতাই আসল ব্যাপার। এই অনুভূতিটা অসাধারণ। আমি বাড়িতে ছিলাম, টিভিতে দেখলাম চেলসি ম্যানচেস্টার সিটিকে হারাল। এরপর বাড়িতে আমরা অনেক উদ্‌যাপন করেছি। এখানে একটা ব্যাপার গুরুত্বপূর্ণ, আমি অনেক খুশি যে অবশেষে প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমটা শেষ করতে পেরেছে। একটা সময় তো শঙ্কা ছিল যে মৌসুম হয়তো শেষ হবে না, লিভারপুলের হয়তো লিগ জেতা হবে না।

প্রশ্ন: লিগ জেতার পর ক্লপের সঙ্গে কথা হয়েছে? কী কথা হয়েছে?
রাশ: হ্যাঁ, কথা হয়েছে। হয়তো দেখেছেন, শিরোপা উৎসবের সময় আমি মঞ্চেই ছিলাম, কেনি ডালগ্লিশের পাশে। দুর্দান্ত একটা অনুভূতি। ক্লপ, তাঁর কোচিং দলের অন্যান্য সদস্য, খেলোয়াড়েরা সবাই আস্তে আস্তে বোর্ডরুমের দিকে চলে গেল। সবাই অনেক খুশি ছিল। গান গাইছিল, উল্লাস করছিল। পরে বড়সড় একটা পার্টিও হয়েছে। বুঝতেই পারছেন, তিরিশ বছর পর লিগ শিরোপা ফিরে এসেছে আবার, অমন উদযাপন তো হবেই! সবাই খুব ভালো মুডে ছিল। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই এই আনন্দটা প্রাপ্য।
প্রশ্ন: আপনি লিভারপুলে বব পেইসলি, জো ফ্যাগানের মতো কোচের অধীনে খেলেছেন। এখন ক্লপ কী করছেন, তা দেখছেন। আপনার কী মনে হয়, ক্লপ বাকি দুজনের সমতায়? নাকি এরই মধ্যে তাঁদের ছাড়িয়ে গেছেন?
রাশ: প্রথমত, লিভারপুলের ইতিহাসে অনেক অসাধারণ কোচ এসেছেন। বিল শ্যাঙ্কলি থেকে শুরু। এরপর বব পেইসলি, জো ফ্যাগান, কেনি ডালগ্লিশ… জেরার্ড হুলিয়েরেরের কথাও আসবে। সবাই অসাধারণ। ক্লপ যা করেছে, সেটা আমাকে অনেক ক্ষেত্রেই পেইসলি বা শ্যাঙ্কলি যুগের কথা মনে করিয়ে দেয়। সমর্থকদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়েছে সে। ক্লপ যা অর্জন করেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। তবে এরই মধ্যে অন্য দুজনকে ছাড়িয়ে গেছে, এটা বলব না। লিগ জেতা অবশ্যই কষ্টের বিষয়, তবে লিগ ধরে রাখাটা আরও বেশি কষ্টের। যদি সেটা সে করতে পারেন, তাহলে বলব, হ্যাঁ, (শ্যাঙ্কলি-পেইসলিকে ছাড়িয়ে যেতে) পেরেছে। গত দুই বছরে ক্লপ লিগ জিতেছে, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। এই সাফল্যটা ধরে রাখতে হবে আমাদের। শুধু এক-দুই বছরই নয়, পাঁচ-দশ বছর ধরে রাখতে হবে। আমাদের সেটা করার মতো খেলোয়াড় আছে, আমাদের সেরকম কোচ আছে। এখন আগামী কয়েক বছর সাফল্যটা ধরে রাখতে পারলেই বলব যে হ্যাঁ, ক্লপ হয়তো বা ওই আলোচনায় (সবাইকে ছাড়াতে পেরেছেন কি না) আশার যোগ্য। এখনই হয়তো সে ওই উচ্চতায় পৌঁছায়নি, তবে যদি সামনের বছরেও লিগ জেতে, তাহলে সেটা ওকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

লিভারপুলের জার্সিতে রাশের সোনালি দিনগুলো। ফাইল ছবি
লিভারপুলের জার্সিতে রাশের সোনালি দিনগুলো। ফাইল ছবি

প্রশ্ন: বর্তমান কোচদের মধ্যে এঁদের ক্রমানুযায়ী রাখতে বললে কীভাবে রাখবেন – ক্লপ, পেপ গার্দিওলা, হোসে মরিনহো, জিনেদিন জিদান ও মরিসিও পচেত্তিনো?
রাশ: সত্যি বলতে আমার কাছে মনে হয় ক্লপ অন্যদের চেয়ে এগিয়ে। কারণ অন্যদের দিকে যদি দেখেন, তাঁরা প্রত্যেকেই দল গড়ায় খরচ করার জন্য ক্লপের চেয়ে অনেক বেশি অর্থ পেয়েছে। গার্দিওলার দিকে দেখুন, আমি তাকে অনেক পছন্দ করি। ভিন্ন ভিন্ন দেশে জিতেও দেখিয়েছে সে। মরিনহোও দুর্দান্ত। কিন্তু ক্লপও এঁদের সমমানেরই। কারণ এঁদের চেয়ে অনেক কম অর্থ খরচ করেই এমন সাফল্য পেয়েছে সে। পচেত্তিনো… আমার চোখে সে এখনো শিখছে। সে এরপর কোন ক্লাবে যায় সেটা দেখার বিষয় হবে। ক্লাবটা ওর জন্য সঠিক ক্লাব হতে হবে। যেটা বলছিলাম, দেখুন গার্দিওলা অনেক অভিজ্ঞ, সফল। কিন্তু সে অনেক অর্থ খরচ করেছে। মরিনহো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, চেলসিতে তা-ই করেছে। তবে ক্লপ দল গড়তে, জিততে এদের মতো এত অর্থ খরচ করার জন্য পায়নি। সেটাই আমার চোখে ওকে এক নম্বর করে রেখেছে।

প্রশ্ন: আপনি লিভারপুলের সর্বশেষ লিগজয়ী দলে খেলেছেন। লিভারপুলের এবারের লিগজয়ী দলকেও দেখেছেন। আপনাকে যদি বলা হয় দুই দল মিলিয়ে সম্মিলিত একটা একাদশ বানাতে, কাকে কাকে রাখবেন সে দলে?
রাশ: (হাসতে হাসতে) বেশ কঠিন প্রশ্ন এটা। দুটোই অসাধারণ দল। আমি বরং বলব, এর চেয়ে বরং দুই দল একে অন্যের বিপক্ষে খেল, ওয়েম্বলিতে! আর আক্রমণভাগের ব্যাপারে বলতে পারি, আমি যেহেতু আক্রমণভাগে খেলতাম। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করে আমি এই আক্রমণত্রয়ী – ফিরমিনো, মানে, সালাহ - এদের কারও বদলে এই দলে জায়গা পেতাম কি না! আমি বলি, আমি যদি ক্লপ হতাম, আমি আক্রমণে ‘ফ্রন্ট থ্রি’ না রেখে ‘ফ্রন্ট ফোর’ খেলাতাম। সবাই বলে ওটা সেরা দল, বা এটা সেরা দল, আমি বরং ওই বিতর্কে না যাই, কারণ দুই দলের অনেকেই আমার বন্ধু! এটার উত্তর দেওয়া কঠিন।

প্রশ্ন: তাহলে আরেকটা কঠিন প্রশ্ন করি! দুই দল যদি পরষ্পরের মুখোমুখি হতো, কে জিতত?
রাশ: আমার মনে হয় ম্যাচটা ড্র হবে। জানেন কেন ড্র হবে? কারণ আমাদের দলের সবার বয়স ৫০-এর ঘরে, এই দলের ওরা সেরা বয়সটাতে আছে। আমরা তো সবাই বুড়ো হয়ে যাচ্ছি (হাসি), তাই ম্যাচটা ড্র-ই হতো।

প্রশ্ন: আচ্ছা, তাহলে এভাবে প্রশ্নটা করি, আপনাকে যদি বলা হয় যে এই দলের কোনো একজন খেলোয়াড়কে বেছে নিতে, যার আপনাদের ওই দলে চাইতেন, সেটি কে হবে?
রাশ: এই দলের একেকটা বছর ধরলে অবশ্য একেকজনের নাম আসবে। শুধু এই বছরের কথা চিন্তা করলে, তাহলে (সাদিও) মানের কথা বলব। অসাধারণ খেলেছে ও। দুবছর আগে হলে সালাহর নাম বলতাম, ৪৩ গোল করেছে সেবার ও। তবে যে দুজন খেলোয়াড় লিভারপুলে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে, ওরা হচ্ছে আলিসন আর ফন ডাইক। গত দুই বছরে ওরা এসেই দলটাকে একদম বদলে দিয়েছে। তবে যেকোনো একজনকে পছন্দ করতে হলে, যেহেতু আমাদের দলে রক্ষণে অ্যালান হ্যানসেন দুর্দান্ত খেলেছে, আমি হয়তো গোলকিপার হিসেবে আলিসনকেই চাইতাম। আমাদের আক্রমণভাগ অনেক গোল করেছিল, আলিসন থাকলে গোল খেতাম আরও কম।

প্রশ্ন: আপনি নিজে একজন অসাধারণ গোলদাতা ছিলেন। ছোটবেলায় স্ট্রাইকার হিসেবে কাকে অনুসরণ করার চেষ্টা করতেন?
রাশ: আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমি এভারটন সমর্থন করতাম, হয়তো আপনারা জানেন না। আমার নায়ক ছিলেন বব ল্যাচফোর্ড। এভারটনের ভক্ত না হলে তাঁর নাম জানার কথা নয়। আমি ছোটবেলায় তাঁর খেলা দেখতে চলে যেতাম মাঠে। দেখতাম, দূরপাল্লার গোল দিচ্ছেন একেকটা। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে ল্যাচফোর্ড ৩০ গোল করেছিলে, এরপর আমিই ওই মাইলফলক ছুঁই, ১৯৮৪ সালে। ছোটবেলায় এভারটনিয়ান (এভারটন ভক্ত) হিসেবে ল্যাচফোর্ডই ছিলেন আমার নায়ক।

প্রশ্ন: নতুন খেলোয়াড়দের মধ্যে যাঁরা আপনার মতো অসাধারণ গোলদাতা হতে চায়, তাঁদের কী বলবেন?
রাশ: সবার আগে তো আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কোনো তরুণ খেলোয়াড় আমার কাছে পরামর্শ চাইতে আসলে আমি সবার আগে জিজ্ঞেস করি, কোন পায়ে শট নিতে তুমি স্বচ্ছন্দ? ধরুন আমি আপনাকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কোনো পায়ে শট নেন?

প্রশ্নকর্তা: ডান পায়ে?
রাশ: ভুল উত্তর! সঠিক উত্তর হবে—দুই পা। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আপনাকে দুই পায়েই শট নেওয়া শিখতে হবে। আর আরেকটা পরামর্শ আমি সব সময় দিই, অনেকে আছে, কোনো জায়গা থেকে শট নিয়ে মিস করলে সে জায়গা থেকে আর শট নিতে চায় না। ওই জায়গাটা এড়িয়ে যেতে চায়। কিন্তু এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মিস করলে বরং বারবার সে শটটা সে জায়গা থেকে মারতে হবে। ধরুণ আমি ম্যাচে তিনটা গোল মিস করলাম। কিন্তু চতুর্থ শটে যখন গোল করব, সবাই আগের তিনটার কথা ভুলে যাবে। গোল মিস করাকে কখনো ভয় পাওয়া যাবে না।

প্রশ্ন: আপনি ছোটবেলায় এভারটনের ভক্ত ছিলেন। কেমন লাগে যখন মনে পড়ে যে লিভারপুলের হয়ে আপনার সবচেয়ে বেশি গোল এই এভারটনের বিপক্ষেই?
রাশ: লিভারপুলে যোগ দেওয়ার আগে আমি যখন চেস্টার সিটিতে খেলতাম, তখন এভারটনের স্কাউট আমার খেলা দেখার জন্য এসেছিল। এভারটনের সে সময়ের কোচ পরে পত্রিকায় বলেছিলেন যে, ইয়ান রাশ এভারটনের হয়ে খেলার যোগ্য নয়। তখন বেশ জেদ চেপে গিয়েছিল। তিন মাস পর আমি লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলাম। চুক্তিতে সই করেই প্রথম যে কথাটা বলেছিলাম, সেটা হল - এবার এভারটনকে দেখাব তাঁরা কী হারিয়েছে! ঠিক এ কারণেই আমি ওদের বিপক্ষে এত বেশি গোল করেছি!

প্রশ্ন: আপনার সময়ে ম্যারাডোনা খেলে গেছেন। আপনি পেলের খেলাও দেখেছেন। আপনার চোখে কে সেরা - পেলে না ম্যারাডোনা?
রাশ: এ দুজনের মধ্যে একজনের নাম নেওয়া মেসি-রোনালদোর মধ্যে কে সেরা, সে প্রশ্নের মতো হয়ে যায় ব্যাপারটা অনেকটা। পেলে আমার সব সময়ের নায়ক। ম্যারাডোনা আমার অনেক ভালো বন্ধু, ইতালিতে (রাশ লিভারপুলে দুই দফার মাঝে জুভেন্টাসে এক বছর খেলার সময়ে) একে অন্যের বিপক্ষে খেলেছি। ওর সঙ্গে এখনও আমার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। তবে দুজনের মধ্যে আমি পেলেকেই নেব। কারণ তিনি মাত্র সতেরো বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছেন, জিতেছেন। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন চারটা (আসলে তিনটি)। কী দুর্দান্ত ছিলেন। ম্যারাডোনাও বল পায়ে যেকোনো কিছুই করতে পারত। একই কথা বলা যায় মেসি ও রোনালদোর ক্ষেত্রেও। পেলে-ম্যারাডোনা, মেসি-রোনালদো এরা প্রত্যেকেই বাকিদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, অন্য উচ্চতায়। পেলে তাঁর সময়ে, ম্যারাডোনা ওর সময়ে, এখন মেসি-রোনালদো। তবে তিনি চারটা (তিনটি) বিশ্বকাপ জিতেছেন বলেই আমি পেলেকে ওপরে রাখব।

প্রশ্ন: এবার প্রশ্ন - মেসি না রোনালদো?
রাশ: জানতাম এই প্রশ্নটা আসবে। আমি রোনালদোকে বেছে নেব। শুধু এই কারণে যে ও তিন ভিন্ন দেশে খেলেছে। ইংল্যান্ডে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে, স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদে এখন ইতালিতে জুভেন্টাসে। তিনটি আলাদা আলাদা দেশে ও লিগও জিতেছে। মেসি বার্সেলোনা ছাড়া অন্য কোনো ক্লাবে… ধরুন ম্যানচেস্টার সিটিতে গিয়ে কী করে আমার দেখার খুব ইচ্ছা। মেসি যেভাবে খেলে, সেটা অসাধারণ। বার্সেলোনার খেলার ধরন ওর সঙ্গে যায়। ও যদি কখনও বার্সা ছাড়ে, তাহলে বেশ সমস্যায় পড়বে ক্লাবটা। কারণ মেসি খেলোয়াড় হিসেবে এতটাই ভালো। তবু, আমি রোনালদোকেই এগিয়ে রাখব, কেননা ও তিন দেশে জিতে দেখিয়েছে।

প্রশ্ন: আপনি লিভারপুলের হয়ে নিয়মিত ট্রফি জিতেছেন। নিয়মিত জিততে হলে এই লিভারপুলকে কী করতে হবে?
রাশ: প্রথমত এটা বেশ কঠিন। কারণ আগামী মৌসুমে প্রত্যেকটা দল লিভারপুলকেই হারাতে চাইবে। আমরা যখন লিগ জিততাম, আমরা প্রায় প্রতি মৌসুমেই দুজন করে নতুন খেলোয়াড় কিনতাম, যাতে দলের বর্তমান খেলোয়াড়েরা তটস্থ থাকে। লিভারপুলের একেবারে তরুণ খেলোয়াড় কেনার দরকার নেই, কারণ আমাদের একাডেমি থেকে দারুণ অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে। আমি দেখতে চাই, লিভারপুল ‘রেডিমেড’ কোনো খেলোয়াড় কিনুক। সেটা কোন পজিশনে লাগবে, সেটা জানি না। লিভারপুলের এখন যে দল, সেটি বয়সের দিক থেকে, অভিজ্ঞতার দিক থেকে বেশ ভালো। আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের জন্য দলটা গোছানোই। কিন্তু মূল একাদশের কোনো খেলোয়াড় চোটে পড়লে? তখন কী হবে? তবে ইয়ুর্গেন ক্লপ এসব ভালোই জানে। সে জানে ওর কী ধরনের খেলোয়াড় লাগবে। এবং দরকার মনে হলে সে অবশ্যই সেরকম খেলোয়াড় কিনবে।