সরফরাজকে পানি টানার কাজ থেকে বাঁচার বুদ্ধি দিলেন রমিজ
গত সপ্তাহে শোয়েব আখতার ও রশিদ লতিফ খেপে উঠেছিলেন পাকিস্তান দল ও সরফরাজ আহমেদের ওপর। টেস্টের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে শান মাসুদের জন্য পানি নিয়ে গিয়েছিলেন সরফরাজ, নিয়ে গিয়েছিলেন জুতা। সাবেক এক অধিনায়ককে দিয়ে এমন কাজ করানোয় দলের ওপর খেপেছিলেন শোয়েব ও রশিদ। আবার এমন কিছুতে রাজি হওয়ায় সরফরাজকেও একটু বকে দিয়েছিলেন এ দুজন। রমিজ রাজা সে তুলনায় আরেকটু বাস্তববাদী। ভবিষ্যতে যেন এমন কিছু দেখতে না হয়, সে বুদ্ধি দিয়েছেন রমিজ।
রমিজ রাজার পরামর্শ বেশ সোজাসাপ্টা। ৩৩ বছর বয়সী সরফরাজকে টেস্ট থেকে অবসর নিতে বলছেন রমিজ। ইউটিউব চ্যানেল ক্রিকেট বাজে বলেছেন, ‘আমার চোখে এটা একদম সহজ হিসাব। একজন যদি দলের অধিনায়কত্বের চূড়ায় ওঠে তাহলে তার পক্ষে সেখান থেকে নেমে বেঞ্চে বসা খুবই কঠিন। আমি সরফরাজকে বলব ভালো করে ভেবে দেখ এবং টেস্ট থেকে অবসর নাও। সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দাও। এই ফরম্যাটে সে খুবই ভালো এবং আগ্রাসনের জন্য বিখ্যাত।’
ক্রিকেটে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পানি টানার দৃশ্য একদম বিরল না হলেও খুব পরিচিতও নয়। রিকি পন্টিং, মহেন্দ্র সিং ধোনি কিংবা বিরাট কোহলিও এ কাজ করেছেন। রমিজের চোখে এটা বড় কোনো ঘটনা নয়, কিন্তু নিজের দেশের সংস্কৃতির প্রতিও খেয়াল রাখার কথা বলছেন ৫৭ টেস্ট খেলা এই সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘এতে কোনো ভুল নেই, কারণ যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে খেলেনি, সেদিন জেমস অ্যান্ডারসনও পানি টেনেছে। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে এমন কিছু ভালোভাবে দেখা হয় না। আর যদি সাবেক অধিনায়ক হয় তাহলে তো হলোই।’
রমিজের চোখে যেহেতু সরফরাজে টেস্টে আর দলে ঢোকার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য, তাঁকে দলের সঙ্গে রেখে বর্তমান প্রথম পছন্দের উপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, ‘তাকে টেস্ট স্কোয়াডে রাখার ফলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপরও চাপ দেওয়া হচ্ছে। তার সব সময় চিন্তা থাকছে ঘাড়ের ওপর সাবেক এক অধিনায়ক নিশ্বাস ফেলছে এবং এটা ওর জন্য ভালো কিছু নয়। আমার মনে হয় না সরফরাজকে বেঞ্চেও রাখা উচিত। ওর উচিত টেস্টকে বিদায় বলা।’
গত বছর সরফরাজের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নিয়ে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের ফলে বড় স্কোয়াড ঘোষণা করতে গিয়ে আবারও তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান বোর্ড।