'কোয়ারেন্টিন-খরচ' এড়াতে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত

শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল। ছবি : এএফপি
শ্রীলঙ্কা জাতীয় দল। ছবি : এএফপি

করোনাপরিস্থিতি দারুণভাবেই সামলে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এখনো পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৮৭৫ জন। মৃত্যু মাত্র ১১। উপমহাদেশের অন্য দেশগুলির তুলনায় এ সংখ্যা অনেকটাই স্বস্তির। সে কারণেই ক্রিকেট সহ অন্যান্য খেলা মাঠে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। লঙ্কান সরকারের স্বাস্থ্যবিধি খুবই কঠোর। বিদেশ থেকে যেকোনো নাগরিক শ্রীলঙ্কায় গেলে তাদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। সরকারের এমন নীতির কারণেই আগস্টের শেষ থেকে মাঠে গড়ানোর কথা থাকলেও লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ পিছিয়ে দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)।

লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশি ক্রিকেটাররা থাকতেন। টিভি সম্প্রচারক কিংবা ধারাভাষ্যকারদের অনেকেই হয়তো আসতেন বিদেশ থেকে। সরকারি নিয়মানুযায়ী এই বিদেশিদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখার খরচটা এড়াতেই মূলত ক্রিকেট শ্রীলঙ্কার এই সিদ্ধান্ত।

আগস্টের জায়গায় আগামী নভেম্বরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের ইচ্ছা শ্রীলঙ্কার। ২০ নভেম্বর তারিখ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটা ফাঁকা সময় আছে । এ ব্যাপারে এসএলসির সহ সভাপতি রাভিন বিক্রমারত্ন বলেন, ‘ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট চায় সে সময়ই এটি আয়োজন করতে। আমরা ফাঁকা সময়টাকে ধরেই পরিকল্পনা করছি।’ টুর্নামেন্ট পেছানোর পেছনে আইপিএলেরও প্রচ্ছন্ন প্রভাব আছে। বিক্রমারত্নের মতে, ‘টুর্নামেন্টটি আইপিএলের সম্ভাব্য সময়ে হতো। দর্শকের আগ্রহের দিক থেকে এলপিএল আইপিএলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারত না।’

আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আবার শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা। বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কোয়ারেন্টিনের ঝামেলা এড়াতে চাচ্ছে। তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গেলেও সেখানে আবার তাঁদের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। গতকাল বিসিবি প্রধান নির্বাহী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ দলকেও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা এসএলসির জন্য আর্থিক চাপ মনে করছেন বিক্রমারত্ন, ‘আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ ব্যাপারে নিয়ম একটু শিথিল করতে বলেছি। যদি বাংলাদেশকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হয়, তাহলে সেই খরচটা তাদের বোর্ডকে বহন করতে হবে। এমন হলে তাদের জন্য কঠিন হবে।’