জার্মানিতে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অসন্তুষ্ট সুলশার

ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ছবি: এএফপি
ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ছবি: এএফপি
জার্মানিতে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট নন সুলশার। এভাবে অনুশীলন নেওয়াটা তাঁর দলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন ইউনাইটেড কোচ

ইউরোপা লিগের জন্য জার্মানিকেই বেছে নিয়েছে উয়েফা। জৈব-সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি করে দু-তিনটি শহরে হচ্ছে টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বের ম্যাচগুলো। কোলনে কাল এফসি কোপেনহেগেনকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেমিফাইনাল ম্যাচটি তারা খেলবে আগামী রোববার। সেই ম্যাচের জন্য নিজেদের তৈরি করতে দল নিয়ে নিজেদের অনুশীলন মাঠ ক্যারিংটনে ফিরতে পারলেই খুশি হতেন কোচ ওলে গুনার সুলশার। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। কারণ উয়েফা আগেই বলে দিয়েছে টুর্নামেন্টের বাকি অংশটা জার্মানিতেই কাটাতে হবে দলগুলোকে।

জার্মানিতে অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট নন সুলশার। এভাবে অনুশীলন নেওয়াটা তাঁর দলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে বলে মনে করেন ইউনাইটেড কোচ, ‘আমরা যে রকম সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অনুশীলন করতে অভ্যস্ত, এখানে সেই সুযোগ-সুবিধা নেই। তবে এটা কোনো অজুহাত নয়। সব দলেরই একই অবস্থা। একটি ম্যাচ শেষে আগের অবস্থায় ফিরে আসা আর প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বিশ্বের সেরা সুযোগ-সুবিধা পাই আমরা।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনাল ম্যাচের মধ্যে ছয় দিনের ব্যবধান। একটি দলের জন্য নিজেদের খেলোয়াড়দের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট সময় এটা। সুলশার এটাকে ভালো দিক হিসেবেই দেখছেন, ‘একটি ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হতে আমরা ৬ দিন সময় পাচ্ছি। একটি ম্যাচের জন্য নিজেদের তৈরি করতে এত সময় খুব বেশি আমরা পাই না।’

তবে করোনাভাইরাসের কারণে এবারের মৌসুমটা একটু যেন বেশিই লম্বা মনে হচ্ছ খেলোয়াড়দের কাছে। এ মৌসুমে ৬০তম ম্যাচ খেলা ইউনাইটেডের মিডফিল্ডার হুয়ান মাতা যেমন বললেন, ‘আমার মনে হয় মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে দল শারীরিক দিক থেকে একটু ক্লান্ত। এর মধ্যেই আজকের (গতকাল) মতো ম্যাচ জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’