রিয়ালকে বাঁচাতে তাঁকে ডেকে আনছেন জিদান

আবারও সাদা জার্সিতে দেখা যাবে ওডেগার্ডকে? ফাইল ছবি
আবারও সাদা জার্সিতে দেখা যাবে ওডেগার্ডকে? ফাইল ছবি

স্বপ্নটার বয়স পাঁচ হয়ে গেল! রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে আলো ছড়ানোর আশায় ইউরোপের দারুণ সব একাডেমির ডাক ভুলে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়েছিলেন মার্টিন ওডেগার্ড। বয়স তখনো ১৫ তাঁর। এই বয়সেই রিয়ালের জার্সিতে অভিষেক হয়ে গেল নরওয়েজিয়ানের। তাও আবার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বার্নাব্যুতে।

এমন স্বপ্নের মতো শুরুটা পরে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। কৈশোর না পেরোতেই রিয়ালের জার্সির ওজন সামলাতে পারেননি ওডেগার্ড। রিয়ালের দ্বিতীয় দলেও খুব একটা যে আলো ছড়িয়েছেন তা নয়। জিনেদিন জিদান রিয়ালের কোচ হওয়ার পর তো ক্লাবই ছাড়তে হলো। ডাচ লিগে দু দফা ধারে খেলতে গিয়েছেন। সেখানে নাম কামিয়ে আবারও রিয়ালে ফেরার কথা হচ্ছিল গত মৌসুমে। কিন্তু চার বছর আগের পরিস্থিতিতে যে এক ফোটাও বদলাননি। এখনো মাঝমাঠে টনি ক্রুস-লুকা মদরিচ-কাসেমিরো ত্রয়ী। তাদের সঙ্গে ইস্কো, হামেস এখনো আছেন। এমনকি নতুন করে যোগ হয়েছেন তার পরে কাস্তিয়ায় যোগ দিয়ে মূল দলে জায়গা করে নেওয়া ফেদে ভালভার্দে।

ওডেগার্ডকে তাই দুই মৌসুমের জন্য ধারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল রিয়াল সোসিয়েদাদে। এই দলবদল এবারের লা লিগার সেরা দলবদল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। প্লেমেকার হিসেবে মেসির পরেই এবার লা লিগায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছেন ওডেগার্ড। তবু চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আগামী মৌসুমে তাঁকে রিয়ালেই দেখার কথা ছিল। মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই সোসিয়েদাদকে আশ্বস্ত করেছিল রিয়াল। ওডেগার্ডকে হিসেবে রেখেই প্রাক–মৌসুম প্রস্তুতির কথা ভেবে রেখেছিল তারা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারের পর মত বদলেছে রিয়াল। হারের ব্যবধানের চেয়েও হারের ধরনটা বেশি দৃষ্টিকটু ছিল। তাই জিদান নাকি তাগাদা দিয়েছেন ওডেগার্ডকে ফেরাতেই হবে। মাদ্রিদভিত্তিক সব সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গতকাল এ ব্যাপারে সোসিয়েদাদের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছেন রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। এক বছর আগেই ওডেগার্ডকে ফেরানোর ব্যাপারে সোসিয়েদাদকে রাজি করিয়েছে রিয়াল। দুই ক্লাবের মধ্যে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে নাকি অন্য কোনো প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়কে ধারে সোসিয়েদাদে পাঠানো হবে। ওডেগার্ডও নাকি প্রথমে সোসিয়েদাদে আরও এক বছর কাটাতে চাইলেও এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।

১৫ বছর বয়সে যে স্বপ্ন দেখে দেশ ছেড়েছিলেন, পাঁচ বছর পর সেটা পূরণ করার সুযোগ পাচ্ছেন ওডেগার্ড।