ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে, ইব্রামোভিচ পানিতে...

জ্লাতান ইব্রামোভিচ। ছবি: এএফপি
জ্লাতান ইব্রামোভিচ। ছবি: এএফপি

২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৪-২ গোলের জয়ে একাই চার গোল করেছিলেন জ্লাতান ইব্রামোভিচ। শেষ গোলটি করেছিলেন বাইসাইকেল কিকে। বল ক্লিয়ার করার জন্য বেশ খানিকটাই বাইরে এসে হেড করেছিলেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক জো হার্ট। কিন্তু ইব্রামোভিচ সেটাকে মাটিতে পড়তে না দিয়ে প্রায় ৪০ মিটার দূর থেকেই উল্টোভাবে নিয়েছিলেন জোরালো শট। ইংল্যান্ড গোলরক্ষক নিজের জায়গায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগই পাননি। ইংল্যান্ডের এক ডিফেন্ডার বলটি আটকানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।

৮ বছর আগের সেই গোলটি এখনো অনেকের চোখে লেগে থাকার কথা। ২০১৩ সালে গোলটি জিতেছিল পুসকাস অ্যাওয়ার্ডও। কিন্তু সেই গোল নিয়ে এখন কথা বলা কেন? কারণ ইব্রামোভিচ। গ্রীষ্মের ছুটিতে সমুদ্র বিলাসে আছেন সুইডিশ এই তারকা ফুটবলার। কিন্তু ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙে।’ পানির ওপর বল নিয়ে সেই একই ভঙ্গিতে ভলিতে বল মেরে সেটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন সাবেক বার্সেলোনা ও প্যারিস সেইন্ট জার্মেই তারকা। ক্যাপশনে লিখে দিয়েছেন ‘রানিকে রক্ষা করুন প্রভু।’ এতে যে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের ব্যঙ্গ করা হয়েছে তা অনুমেয়ই।

সেই গোলটি দেখে চোখ কচলাননি এমন মানুষ খুক কম আছে বোধ হয়। যে দলের বিপক্ষে করা সে ইংল্যান্ডের কোচ রয় হজসন গোলটিকে ‘শিল্পের কাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন। তবে নিজের দলের বিপক্ষে এমন গোল কোন কোচই বা দেখতে চান, ‘ফুটবল মাঠে দেখার জন্য এটি দুর্দান্ত একটি গোল। যদি এটি আমি অন্য কোনো দলের বিপক্ষে দেখতাম।’ বলেন হজসন।

আর সেই গোল নিয়ে ইব্রামোভিচ নিজে কী বলেছিলেন? ‘হার্ট (ইংল্যান্ড গোলরক্ষক) অনেক বাইরে চলে এসেছিল এবং আমি বলটি পোস্টে রাখতে চেয়েছিলাম। যখন বল পোস্টে যাচ্ছে তখন আমি মাটিতে। দেখলাম এক ডিফেন্ডার স্লাইড করে বলটি ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বল জালে প্রবেশ করল।’

এই বছরের জানুয়ারিতে এসি মিলানে যোগ দিয়েছেন ইব্রা। ইতালিয়ান দলটির সঙ্গে আগস্ট পর্যন্ত চুক্তি আছে তাঁর। কিন্তু ৩৮ বছর বয়সেও যেভাবে ঝলক দেখাচ্ছেন, এতে তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে মিলান।