ম্যারাডোনার স্মৃতিধন্য নাপোলিতে পাকিস্তানি নারী ফুটবলার

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফুটবলার আকসা মুশতাক। ছবি: টুইটার
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ফুটবলার আকসা মুশতাক। ছবি: টুইটার

ইউরোপিয়ান ফুটবল খেলার সুযোগ সবাই পায় না। অনেকের জন্যই তা স্বপ্নের মতো ব্যাপার। হোক সে পুরুষ কিংবা নারী ফুটবলার।

কিন্তু চাইলেই কী আর ইউরোপে খেলতে পারা যায়? সে জন্য দরকার প্রতিভা, কঠোর অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মতো কিছু বিষয়। এসবের মিশেল ঘটলেই ইউরোপে যাওয়ার আপাত-অসম্ভব স্বপ্নটা পূরণ হতে পারে। সে স্বপ্নকে বাস্তবতার জমিনে নামিয়ে আনলেন পাকিস্তানি এক তরুণী। ইউরোপে খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাও আবার যে সে ক্লাবের হয়ে নয়, একদম ডিয়েগো ম্যারাডোনার স্মৃতিধন্য নাপোলির হয়ে।

নাম তাঁর আকসা মুশতাক। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ তারকা আর কিছুদিন পর বাইশ বছরে পা রাখতে চলেছেন। বাম পায়ের এই খেলোয়াড় মূলত খেলেন উইঙ্গার হিসেবে, স্ট্রাইকার হিসেবেও খেলতে দেখা যায় তাঁকে। যুক্তরাষ্ট্রের লেনোইর রাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাপোলিতে আসা এই ফুটবলার ২০১৯-২০ মৌসুমে দক্ষিণ আটলান্টিক কনফারেন্সের বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কিছুদিন আগে। ১৭ ম্যাচ খেলে গত মৌসুমে করেছেন ১৩ গোল। সহায়তা করেছেন আরও চারটি গোলে। নাপোলি জানিয়েছে, নতুন মৌসুমে আকসা ১২ নম্বর জার্সি পরে মাঠ মাতাবেন।

এখনো জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেখা যায়নি আকসাকে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গর্বিত পাকিস্তানি সমর্থকেরা আশা করছেন, শিগগিরই দেশের হয়ে মাঠে নামবেন আকসা। নাপোলিতে তিনি খেলবেন ১২ নম্বর জার্সি পরে। ফুটবলের ওপর বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চার বছর ছিলেন আকসা। মনোবিজ্ঞান নিয়েও লেখাপড়া করেছেন তিনি। আকসার ফুটবল ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম পেশাদার চুক্তি। নাপোলি লেডিজদের টুইটে আকসার দলে যোগ দেওয়ার খবর নিশ্চিত করে বলা হয়, ‘নাপোলি মেয়েদের দলে খেলবেন আকসা মুশতাক। লেনোইর রাইন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছেন তিনি। অভিনন্দন।’