কোহলি-স্মিথ হতে বাবরকে ইনিংস বড় করতে হবে, বলছেন আফ্রিদি

বাবর আজমের তুলনা নিয়মিত হয় কোহলির সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।
বাবর আজমের তুলনা নিয়মিত হয় কোহলির সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত।

বাবর আজমের খেলা সব সময়ই মুগ্ধ করে শহীদ আফ্রিদিকে। পাকিস্তানের এই সময়ের সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যানও বাবর আজম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের র‌্যাঙ্কিংয়ের আছেন শীর্ষে, ওয়ানডেতে তিনে। নিয়মিত তাঁর তুলনা হয় ভারতের বিরাট কোহলির সঙ্গে। কোহলি, জো রুট, স্টিভ স্মিথ ও কেন উইলিয়ামসন—সময়ের সেরা চার ব্যাটসম্যানের সঙ্গে ইদানীং বাবরের নামও একই ব্র্যাকেটে রাখেন অনেকে।

কিন্তু আফ্রিদির চোখে, সে পথে আরেকটু পথ পাড়ি দিতে হবে বাবরকে। সাবেক পাকিস্তান অলরাউন্ডারের চোখে, কোহলি-স্মিথদের সমান হতে গেলে বাবরকে ইনিংস বড় করা শিখতে হবে, আর ম্যাচ জেতাতে হবে।

টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডেতে তিনি কেমন, তা তো র‍্যাঙ্কিংই বলে। সাদা পোশাকেও ভালোই করছেন বাবর। ২৭ টেস্টে গড় ৪৪.৭৪। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজেও বাবরের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আফ্রিদি। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরেছে। কিন্তু বাবর প্রথম ইনিংসে করেন ৬৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৫ রান করেই ফিরেছিলেন সাজঘরে। টেস্টে হাফ সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলে আরও বড় মাপের ব্যাটসম্যান হতে পারবেন বাবর, আফ্রিদি অন্তত তেমনটাই ভাবেন, ‘ও খুবই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। দলের মেরুদন্ড। কিন্তু ওর বড় রান করা দরকার। বাবর যদি রুট, কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ বা দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো হতে চায়, তাহলে ওকে ফিফটিকে শতকে পরিণত করতে হবে।’

শুধু বাবর নয়, আফ্রিদির মুগ্ধতা দুই তরুণ পেসার নাসিম শাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়েও। এরই মধ্যে আফ্রিদি পাকিস্তানের দুই কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের সঙ্গে এই দুজনের মিল খুঁজে পেয়েছেন, ‘নাসিম ও শাহিনকে নিয়ে আমাদের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে। ওরা তরুণ, প্রাণোচ্ছ্বল এবং খুবই প্রতিভাবান। কিন্তু যদি ওয়াসিম ও ওয়াকারের মতো হতে হয়, তাহলে ওদের ধারাবাহিকভাবে পারফরম করে দেখাতে হবে এবং ম্যাচ জিততে হবে। ওদের চাপটা সামলে নিয়ে শতভাগ উজাড় করে দিতে হবে মাঠে, খেলাটা উপভোগ করতে হবে।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর অধিনায়ক আজহার আলীর সমালোচনা উঠেছে জোরেশোরে। সেটি অধিনায়কত্ব নিয়ে যেমন, তাঁর ব্যাটিং নিয়েও। আফ্রিদি চাইছেন আবারও যেন ঝলসে ওঠে আজহারের ব্যাট, ‘আপনি যদি আজহারের ট্র্যাক রেকর্ড দেখেন, দেখবেন ওর পারফরম্যান্সে যথেষ্ট ধারাবাহিকতা ছিল না। যখন কোনো দল হেরে যায় তখন অধিনায়ক সমালোচিত হবেই। সব সময়ই এমনটা হয়। কিন্তু ওর নিজের পারফরম্যান্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে সব কিছু তো ওকে ঘিরেই।’

আগামীকাল থেকে সাউদাম্পটনে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। আফ্রিদির আশা, বিশ্বমানের ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে এই টেস্টেই ঘুরে দাঁড়াবে পাকিস্তান, ‘এই দল নিয়ে আমি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। পাকিস্তান সব সময় খুব ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। আমাদের দলটা খুব ভালো। আমাদের অভিজ্ঞ ম্যানেজমেন্ট। ভালো ভালো সব খেলোয়াড় আছে এই দলে।’