পিএসজি কোচ ভেবেছিলেন সব শেষ

হারটা মনে মনে মেন নিয়েছিলেন টমাস টুখেল। কিন্তু শিষ্যরা অবিশ্বাস্য জয় এনে দেওয়ার পর এমবাপ্পেকে জড়িয়ে ধরলেন পিএসজি কোচ। ছবি: এএফপি
হারটা মনে মনে মেন নিয়েছিলেন টমাস টুখেল। কিন্তু শিষ্যরা অবিশ্বাস্য জয় এনে দেওয়ার পর এমবাপ্পেকে জড়িয়ে ধরলেন পিএসজি কোচ। ছবি: এএফপি

নেইমার যতই বলুন তিনি কখনোই হারের কথা ভাবেননি। কিন্তু পিএসজি কোচ টমাস টুখেল বলছেন অন্য কথা। ম্যাচের ৮৯ মিনিট পর্যন্তও তাঁর দল যখন ১-০ গোলে পিছিয়ে তখন তিনি হারের বাইরে অন্য কিছু ভাবতে পারেননি। এমনকি তিনি ভাবতেও পারেননি যে ৯০ মিনিট বা যোগ করা সময়ে ২ গোল করতে পারবে তাঁর দল।

ম্যাচ শেষে তিনি সোজা সাপটাই বলে দিয়েছেন নিজে মনের কথা, ‘দেখুন আমি বাস্তববাদী। কখনোই ভাবিনি ম্যাচের ৮৯ মিনিট পেরিয়ে যাওয়ার পর আমরা ২ গোল করে জিতে যাব।’

বিদায়টা চোখের সামনেই দেখছিল পিএসজি। আতালান্তা ১-০ গোলে এগিয়ে খেলাও ৯০ মিনিট ছুঁয়ে ফেলেছে। এমন সময় মার্কুইনহোস গোল করে সমতায় ফেরালেন নেইমারদের। সবাই যখন অতিরিক্ত সময়ের কথা ভাবছে, ঠিক তখনই নাটক। যোগ করা সময়ে এরিক চৌপো মোটিং দ্বিতীয় গোল করে হৃদয় ভাঙলেন আতালান্তার। এ দুই গোলেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে নাম লেখাল পিএসজি। ওদিকে মাত্র ৩ মিনিটের ব্যবধানে স্বপ্ন ভেঙে খান খান হওয়ায় হৃদয় ভেঙেছে আতালান্তা সমর্থকদের।

আতালান্তা কোচ জিয়ান পিয়েরো গাসপিরিনি ভাবছেন স্বপ্নটা কত কাছে এসেও দূরে সরে গেল। ম্যাচের ৯০ মিনিট পর্যন্তও এক গোলে এগিয়ে থাকার পর ২-১ ব্যবধানের হার যেকোনো কোচের জন্যই হৃদয় খান খান করে দেওয়ার মতো ঘটনা। গাসপিরিনি অবশ্য পিএসজির অভাবনীয় জয়ের পেছনে এমবাপ্পে আর নেইমারের মিলিত প্রয়াসই দেখছেন। চোটে আক্রান্ত এমবাপ্পের তো খেলারই কথা ছিল না এ ম্যাচে। চোট সারিয়ে খেলতে নেমে দলের মধ্যে অন্যরকম একটা শক্তিই তিনি ঢুকিয়ে দিয়েছেন বলে অভিমত গাসপিরিনির, ‘আমরা স্বপ্ন পূরণের খুব কাছে চলে এসেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলাম না। জিতে গেলে সেটি হতো দারুণ একটা অর্জন। এমবাপ্পে ম্যাচে ফিরে দলে অন্যরকম একটা শক্তি, একটা প্রেরণার জন্ম দিয়েছে। এমবাপ্পে-নেইমারের মিলিত প্রয়াস তো ছিলই। তবে এমবাপ্পের উপস্থিতিটাই বদলে দিয়েছে পিএসজিকে।’