ফাইনালে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, গবেষণায় প্রমাণিত!

ভবিষ্যদ্বাণীসত্যি হলে এবারই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল–আজেন্টিনা
ভবিষ্যদ্বাণীসত্যি হলে এবারই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল–আজেন্টিনা

বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে স্বপ্নের ফাইনাল। মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা! এবার মারাকানায় ফাইনাল খেলার পথে লাতিন আমেরিকান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই ইউরোপিয়ান দল স্পেন এবং জার্মানিকে হারাবে। আর শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল!

ফুটবল বিশ্বকাপ ঘনিয়ে এলে সবাই যেন জ্যোতিষী বনে যায়। মানুষ তো কোন ছার, গতবার এক অক্টোপাস পর্যন্ত জ্যোতিষগিরি করে বিশ্বজুড়ে নাম কামালো। এবার জ্যোতিষীর খাতায় নাম লিখিয়েছেন স্টিফেন হকিংয়ের মতো বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী। বাজিকর, সংবাদপত্র তো বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করাটাকে কাজের মধ্যেই ধরে। ব্যাংকাররা বাদ থাকবেন কেন? এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করল ওয়াল স্ট্রিটের অন্যতম প্রভাবশালী বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ‘গোল্ডেন স্যাকস’ এবং ইতালিয়ান ব্যাংক ‘ইউনিক্রেডিট’। দুটি প্রতিষ্ঠানেরই ভবিষ্যদ্বাণী, এবারের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা।

দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই আলাদাভাবে বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের গবেষণা প্রকাশ করেছে। মজার ব্যাপার হলো, দুটি প্রতিষ্ঠান এবারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম বলেছে ব্রাজিলেরই।

‘সম্ভাবনার সূত্র’, ‘ফুটবলাস্টিক’ মডেল এবং ‘মন্টে কার্লো সিমুলেশন’ ব্যবহার করে এই গবেষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন ব্যাংকটি তাদের গবেষণায় ছয়টি মাপকাঠিকে উপাত্ত হিসেবে ধরেছে। এগুলোর মধ্যে আছে ‘ইলো’ র্যাঙ্কিং, সাম্প্রতিক খেলাগুলোতে গোল দেওয়া ও হজম করার হার, বিগত বিশ্বকাপগুলোতে দলগুলোর ফলাফল, খেলার মাঠের সুবিধা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা। গোল্ডম্যানের হিসাবে এবারের সেমিফাইনালটি হবে ইউরোপ বনাম দক্ষিণ আমেরিকা। সেই সেমিফাইনালে হেরে যাবে জার্মানি ও স্পেন।

ইতালিয়ান ব্যাংকটি বিশ্লেষণে হিসাবে নিয়েছে ফিফা র্যাঙ্কিং, নিজ মহাদেশ ও নিজ দেশে খেলার সুবিধা, ফিফা সদস্যপদের মেয়াদকাল, অনূর্ধ্ব ১৭ ও ২০ বিশ্বকাপের ফলাফল, গত বিশ্বকাপের ফলাফল। ব্যাংকটি ব্রাজিলের কন্ডিশনে ব্রাজিলের এগিয়ে থাকার বিষয়টির ওপরই জোর দিয়েছে। তা ছাড়া ব্রাজিল গত ১৯টি বিশ্বকাপের ১২টিতেই যে শেষ চারে খেলেছে—এটিও তাদের এগিয়ে রেখেছে।

এর আগে হকিংও বলেছিলেন বিশ্বকাপ জিতবে ব্রাজিল। বিশ্বের খ্যাতনামা বাজিকর প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবেও এগিয়ে আছে স্বাগতিকেরা।