লড়াইয়ের মধ্যে আসল লড়াই

দুদলই বিশ্বকাপ ফাইনাল থেকে মাত্র একটি ম্যাচ দূরে। চলুন দেখে নিই আর্জেন্টিনা-হল্যান্ড সেমিফাইনালে মূল লড়াইগুলো হবে কোথায়।

ফন পার্সি ,ডেমিচেলিস
ফন পার্সি ,ডেমিচেলিস

ফন পার্সি বনাম ডেমিচেলিস
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার রবিন ফন পার্সি মরিয়া থাকবেন বড় টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে গোল না করতে পারার ব্যর্থতা ঘোচাতে। তবে রেড ডেভিলদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার মার্টিন ডেমিচেলিস সচেষ্ট থাকবেন যাতে পার্সির এই ‘রেকর্ড’ অক্ষুণ্ণ থাকে। কোস্টারিকার জমাট রক্ষণে ফাটল ধরাতে ব্যর্থ হলেও আর্জেন্টাইনদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার মনোভাব পার্সির সতীর্থদের হয়তো বেশি জায়গা দেবে আক্রমণ শানাতে। তবে আর্জেন্টিনা কোচ আলেসান্দ্রো সাবেলা তিনজন সেন্টারব্যাক খেলালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

রোবেন, রোহো
রোবেন, রোহো

রোবেন বনাম রোহো
৩০ বছর বয়সী রোবেন এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা উইঙ্গার। বল পায়ে হল্যান্ড আর বায়ার্ন মিউনিখ তারকা নিঃসন্দেহে প্রতিপক্ষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। ডান প্রান্ত থেকে বাঁ দিকে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোল করতে সিদ্ধহস্ত রোবেন ক্যারিয়ারজুড়ে এমন গোল করেছেন অসংখ্য। ফিফার পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে রোবেনের একারই ড্রিবল ছিল ১৭টি, অন্য যেকোনো খেলোয়াড় থেকে আটটি বেশি। আর্জেন্টিনার জন্য বড় স্বস্তির বিষয় শাস্তি কাটিয়ে রোহোর দলে ফেরা। হোসে মারিয়া বাসান্তার জায়গায় রোহো খেলছেন নিশ্চিত, টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত স্পোর্টিং লিসবন ডিফেন্ডারই ছিলেন আর্জেন্টিনা রক্ষণভাগে সবচেয়ে বড় ভরসা।

স্নাইডার , মাচেরানো
স্নাইডার , মাচেরানো

স্নাইডার বনাম মাচেরানো
স্নাইডারকে বিশ্বকাপ দলে রাখা মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। তবে গ্যালাতাসারাই মিডফিল্ডার সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মাঠেই। তাঁর সৃষ্টিশীলতা আর গোলক্ষুধা লুই ফন গালের দলের জন্য ত্রাতা হয়ে এসেছে ডাচদের দুর্দিনে। টুর্নামেন্টে রোবেনের পর স্নাইডারই গোলে সবচেয়ে বেশি শট নিয়েছেন। ভাগ্যদেবী মুখ তুলে না তাকানোয় তার দুটি লেগেছে বারে। এমন দুর্ভাগা টুর্নামেন্টে আর একজনই ছিলেন, ফ্রান্সের ইয়োহান কাবাই। মাচেরানো খেলেন রক্ষণভাগের ঠিক সামনে। বার্সেলোনায় খেলা আলবিসেলেস্তে মিডফিল্ডার শুধু নিখুঁত পাস দিতেই অভিজ্ঞ নন, তাঁর উপস্থিতি আকাশি-নীলদের মাঝমাঠকে জোগায় বাড়তি অনুপ্রেরণা। মাচেরানোর মূল লক্ষ্য থাকবে স্নাইডারকে নিজের খেলাটা না খেলতে দেওয়া।

মেসি
মেসি

হল্যান্ড রক্ষণ বনাম মেসি
বেলজিয়াম ম্যাচে চোট পাওয়া অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে সেমিফাইনালে না পাওয়া আর্জেন্টিনার জন্য বিশাল ধাক্কা। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ শানাতেন ডি মারিয়া, এটার খুব অভাববোধ করবে সাবেলার দল। তবে মেসি যতক্ষণ মাঠে আছেন, সাবেলা নিশ্চিন্ত। ফন গাল এখন পর্যন্ত তিনজন সেন্টারব্যাক নিয়েই খেলেছেন, কিন্তু ওদের বিশ্বমানের কোনো সেন্টারব্যাক নেই। লড়াকু ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার নাইজেল ডি ইয়ংকেও মিস করবে ডাচরা। সেখানে ব্রুনো মার্টিনস ইন্ডি বা ডেলি ব্লাইন্ড যেই খেলুন, মেসিকে আটকানোটাই হবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এএফপি।