আবারও শেখ জামালের 'না'

শুধু লিগ বা টুর্নামেন্ট নয়। যুব ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাও প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক করেছে বাফুফে। সে হিসেবে গত বছর প্রথমবারের মতো হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট। এবার বয়সের সীমা অনূর্ধ্ব-১৮।
প্রিমিয়ার লিগের সব দলকেই এই প্রতিযোগিতায় খেলতে হবে। এটা বাইলজে যোগ করা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাতে প্রথমবার টুর্নামেন্টটা খেলেনি অন্যতম বড় দল শেখ জামাল ধানমন্ডি। বাইলজ ভঙ্গ করেও কোনো শাস্তি না পাওয়ায় দলটি এবারও নেতিবাচক অবস্থান নিয়েছে। প্রশংসনীয় উদ্যাগটা তাই গতি হারাচ্ছে।
প্রিমিয়ার লিগে এবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ জামাল, ক্লাবটির সভাপতি মনজুর কাদের গতবার বলেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট খেলে লাভ নেই। অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট করলে ভালো হবে। সেই অনুযায়ী অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট করার পর এবারও মনজুর কাদের দেখাচ্ছেন নানা সমস্যা। বাফুফের দেওয়ার কথা দুই লাখ টাকা করে, তাদের নাকি ছয়-সাত লাখ টাকা খরচ হয়ে যাবে। বাকি টাকা কে দেবে? এই হলো যুক্তি।
বিদেশ সফরে থাকায় মনজুর কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে শেখ জামালের ম্যানেজার আনোয়ারুল করিম কাল জানিয়েছেন, ‘কাদের ভাই তো এই টুর্নামেন্টে খেলবেন না বলেছেন। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে তিনি বিদেশ থেকে ফিরলে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে শেখ জামাল খেলবে কি খেলবে না।’
শেষ পর্যন্ত শেখ জামাল না খেললে আরেক বড় দল আবাহনীর খেলাও অনিশ্চিত। দলটির ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস সে আভাসই দিলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। সবাই খেললে আমরাও খেলব। কেউ খেলবে, কেউ খেলবে না, এটা হয় কী করে?’ একই প্রশ্ন তুলেছে ব্রাদার্সসহ আরও কয়েকটি ক্লাব।
মোট কথা, শেখ জামালের কারণে টুর্নামেন্টটা ফলপ্রসূ হতে পারছে না। অথচ এই দলটি যুব ফুটবলার নিয়ে কমলাপুর স্টেডিয়ামে ক্যাম্পও করেছে লম্বা সময়। বিদেশ থেকে কোচও এনেছিল শেখ জামাল (গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসে। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ায় যোগ দেন ফেনী সকারের মূল দলে)। সেই শেখ জামালই কিনা যুব ফুটবলের প্রতি বিমুখ। তবে বাফুফের আশা, শেখ জামাল ‘হ্যাঁ’ বলবে। মনজুর কাদের নাকি তেমন আভাস দিয়েছেন।
জুনে বিশ্বকাপের সময় এ টুর্নামেন্ট করতে চেয়েছিল বাফুফে। পরে ক্লাবগুলোর অনুরোধে তা পেছাতে পেছাতে এখন শুরুর নতুন তারিখ আগামী ২ সেপ্টেম্বর। ২৩ আগস্ট পর্যন্ত খেলোয়াড় নিবন্ধন করা যাবে। সে লক্ষ্যে উন্মুক্ত ট্রায়াল ডাকা দলগুলো পেয়েছে অভূতপূর্ব সাড়া। মুক্তিযোদ্ধার কোচ শফিকুল ইসলাম তো অভিভূত। কোনো প্রচারণা ছাড়াই তাঁর দলের ট্রায়ালে সারা দেশ থেকে কয়েক শ তরুণ ঢাকায় এসেছে।
টুর্নামেন্টের জন্য যা ইতিবাচক। এমন ইতিবাচক দিক আরও অনেক আছে। কিন্তু শেখ জামাল ‘হ্যাঁ’ না বলা পর্যন্ত পূর্ণতা পাবে না এমন শুভ উদ্যোগ।