সংশয় উড়িয়ে দিলেন নেইমার

সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মেসি-ভক্ত বললেন নেইমার। কাল ন্যু ক্যাম্পে ষ এএফপি
সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে মেসি-ভক্ত বললেন নেইমার। কাল ন্যু ক্যাম্পে ষ এএফপি

অনেক কথাই হচ্ছিল। এক বনে দুই বাঘ থাকলে ব্যাপারটা ভালো হবে না—এমনটাও বলেছিলেন অনেকে। এখনো যে সংশয় নেই, তা কিন্তু নয়। মেসি-নেইমার যুগলবন্দীর সম্ভাবনায় উচ্ছ্বাস যেমন আছে, তেমনি সংশয়বাদীদের সংখ্যাটাও কম নয়। কিন্তু আপাতত সংশয়ের কারণ দেখা যাচ্ছে না। অন্তত মাঠের বাইরে দুজনের মধ্যে কোনো ‘দ্বৈরথ’ যে দেখা যাবে না, সেটা নিশ্চিত করে দিলেন নেইমার।
লিওনেল মেসি আগেই বলেছিলেন নেইমারের সঙ্গে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। নেইমারের কণ্ঠে উচ্ছ্বাসটা ছিল আরও বেশি। কাল বার্সেলোনার জার্সি গায়ে ন্যু ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনেও সেটাই ছড়িয়ে দিলেন বাতাসে, ‘মেসি অসাধারণ। সে সব সময়ই হাসিখুশি। সে দারুণ এক মানুষ। আমাদের প্রতিদিনই কথা হয়।’ দুর্জনদের মুখে ছাই দিয়েছেন এরপরই, ‘দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমি নিশ্চিত আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হবে না। সে আমার আইডল। আমার কাছে সে-ই সেরা। আমি তাকে অনেক সম্মান করি। আশা করি, তাকে সাহায্যও করতে পারব।’
বয়স ২১, এখনো কৈশোরের চপলতা আছে। সংবাদ সম্মেলনেও মাঝেমধ্যেই দুষ্টুমি করলেন। কথাবার্তায় ভেসে এল শৈশবের স্বপ্ন, ‘আমি যখন অনুশীলন করি তখন আমার মনে হয় যেন একটা স্বপ্নের মধ্যে আছি। এই স্বপ্নটাই আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছিলাম। সেটাই এবার সত্যি হয়েছে। মাঠে চোখ ফেরালেই আমি মেসিকে দেখি বা জাভি, ইনিয়েস্তা বা পুয়োলকে। আমার মনে হয় যেন আমি এখন পরিপূর্ণ মানুষ। আমি খুশি, দারুণ খুশি।’
তবে নিজেও জানেন, বাস্তবের জমিনে খুব তাড়াতাড়িই পা রাখতে হবে। প্রত্যাশার চাপ যে বাড়তেই থাকবে সেটাও মানছেন, ‘চাপ তো থাকবেই, বিশেষ করে বার্সেলোনার মতো ক্লাবে। কিন্তু আমি খুব একটা উদ্বিগ্ন নই। ম্যাচে হোক বা অনুশীলনে, আমাদের শান্ত থাকতে হবে। কারণ চাপটা আমাদের ওপরেই। আর এটা ফুটবলেরই অংশ।’
চাপ কীভাবে সামলাতে হয়, সেটা তো কনফেডারেশনস কাপেই দেখিয়েছেন। এখানে তো পাশে পাবেন বিখ্যাত সব খেলোয়াড়কে। জাভি যেমন বলেছেন নেইমার বার্সায় ‘গ্রেট’ হতেই এসেছেন! রয়টার্স।