পাঁচে পাঁচ ভারত

জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাইয়ের পর ট্রফি হাতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ষ এএফপি
জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাইয়ের পর ট্রফি হাতে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ষ এএফপি

শুরুতে সিরিজটা খেলতেই চায়নি ভারত। বাতিলও করে দিয়েছিল আনুষ্ঠানিকভাবে। পরে যে ভাবনা থেকে রাজি হলো সিরিজটা খেলতে, মিলে গেল যেন সবকিছুই। প্রাপ্তির খাতায় বলতে গেলে ষোলো আনাই! ভবিষ্যৎ গুরুদায়িত্বের জন্য শুধু অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ই হয়নি, বিরাট কোহলি নেতৃত্ব উদ্যাপন করলেন ইতিহাস গড়ে। তরুণদের বাজিয়ে দেখার কাজটি হলো দারুণ। আর জিম্বাবুয়েকে ধবলধোলাই করাও হলো। দেশের বাইরে এই প্রথম ৫-০-তে জিতল ভারত।
সুযোগটা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগালেন অবশ্য এই তরুণ দলের সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড়টিই। সেই ২০০৩ সালে অভিষেক, ১০ বছর ধরে দলে শুধু আসা-যাওয়াই চলছে অমিত মিশ্রর। এবার সুযোগ পেয়ে দলে নিয়মিত হওয়ার দাবি জানিয়ে রাখলেন ৩০ বছর বয়সী স্পিনার। কাল ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা, তৃতীয় ম্যাচেও সেরা হয়েছিলেন ৪ উইকেট নিয়ে। পাঁচ ম্যাচে তাঁর রেকর্ড ১৮ উইকেট!
কালকের ম্যাচ অনুসরণ করেছে আগের ম্যাচটিকেই। চতুর্থ ম্যাচে ১৪৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে জিম্বাবুয়ে হেরেছিল ৯ উইকেটে। কাল ১৯ রান বেশি হলো, হার ৭ উইকেটে। চেতেশ্বর পূজারার ওয়ানডে দলে নিয়মিত হওয়ার স্বপ্ন আবার ধাক্কা খেয়েছে কাইল জার্ভিসের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে। তবে ব্যাটিংয়ে ভারতের প্রাপ্তির খাতায় ঠিকই যোগ হয়েছে দুটি নাম। সিরিজে প্রথম সুযোগ পেয়েই ফিফটি করেছেন অজিঙ্কা রাহানে। রানের দেখা পেতে চারে তুলে আনা রবীন্দ্র জাদেজা করেছেন অপরাজিত ৪৮। কোহলির চেয়ে কম বয়সে (২৪ বছর ২৭১ দিন) ৫-০-তে সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন কেবল প্রসপার উতসেয়াই (২৩ বছর ২১৫ দিন)। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ৩৯.৫ ওভারে ১৬৩ (সিবান্দা ৫, মাসাকাদজা ৩২, টেলর ০, মারুমা ৪, উইলিয়ামস ৫১, ওয়ালার ৮, চিগুম্বুরা ১৭, মুতুম্বোজি ৪, মুশাঙ্গে ১৬, জার্ভিস ১২*, ভিটরি ৪; মিশ্র ৬/৪৮, উনাদকাট ১/৮, মোহিত ১/২৫, সামি ১/২৭, জাদেজা ১/৪২)। ভারত: ৩৪ ওভারে ১৬৭/৩ (পূজারা ০, ধাওয়ান ৪১, রাহানে ৫০, জাদেজা ৪৮*, কার্তিক ১০*; জার্ভিস ২/১৮, ওয়ালার ১/১৮)। ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজ ভারত ৫-০ ব্যবধানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অমিত মিশ্র।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট
ম্যাচ উইকেট সেরা গড় বিপক্ষ সাল
জাভাগাল শ্রীনাথ (ভারত) ৭ ১৮ ৪/২৩ ১১.১৬ নিউজিল্যান্ড ২০০২-০৩
অমিত মিশ্র (ভারত) ৫ ১৮ ৬/৪৮ ১১.৬১ জিম্বাবুয়ে ২০১৩
প্যাট্রিক প্যাটারসন (উইন্ডিজ) ৬ ১৭ ৬/২৯ ১১.৫৮ ভারত ১৯৮৭
ক্রেগ ম্যাথুস (দ. আফ্রিকা) ৭ ১৭ ৪/১০ ১৪.০০ অস্ট্রেলিয়া ১৯৯৪
পল জার্ভিস (ইংল্যান্ড) ৬ ১৫ ৫/৩৫ ১৬.৬০ ভারত ১৯৯৩
* ১৫ উইকেট পেয়েছেন আরও পাঁচজন