জুবায়ের-সাকিবে বিপদে জিম্বাবুয়ে

দারুণ বল করছেন অভিষিক্ত জুবায়ের ছবি: শামসুল হক
দারুণ বল করছেন অভিষিক্ত জুবায়ের ছবি: শামসুল হক

স্পিনে জিম্বাবুইয়ানদের দুর্বলতার ব্যাপারটি সবারই জানা। অতীতে বাংলাদেশে এসে স্পিনারদের কাছেই নত হয়ে ফিরতে হয়েছে বারবার। এবারও ওই স্পিনাররাই যে তাঁদের মূল হুমকি, সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল সিরিজের প্রথম দিনই। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনে চা বিরতির আগ পর্যন্ত স্পিনারদের কাছেই নাকাল জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনের দুই সেশনে ১৯০ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলা পাঁচ উইকেটের চারটিই নিয়েছেন বাংলাদেশের দুই স্পিনার।
সাকিব আল হাসান আর জুবায়ের হোসেন—জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিড়ম্বনার দুই নায়ক। অভিষেকে জুবায়ের জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এক বড় রহস্য হিসেবে। এই তরুণ-তুর্কির ওপর নির্বাচকদের যে চাওয়া ছিল, সেটা বেশ ভালোভাবেই পূরণ করেছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে রাখার পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন দুটি উইকেট। সিকান্দার রাজা আর ব্রেন্ডন টেলর তাঁর দুই শিকার।
সাকিব তুলে নিয়েছেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা আর এলটন চিগুম্বুরার উইকেট। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখেই সাকিব বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি দলের জন্য কতটা প্রয়োজনীয়। জিম্বাবুয়ের অপর উইকেটটি তুলে নিয়েছেন আরেক ‘কামব্যাক’ পেসার শাহাদাত হোসেন। তিনিই আসলে শুরু করেছেন জিম্বাবুয়ের দুর্গতিটা।
সকালে টস জিতে ব্যাটিং নিতে এতটুকু দেরি করেননি জিম্বাবু​ইয়ান অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলর। তবে শাহাদাতের কল্যাণে শুরুটা হয় তথৈবচ। দিনের পঞ্চম বলেই উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দেন ভুসিমুজি সিবান্দা।
শুরুতেই প্রথম উইকেট হারানোর পর সিকান্দার রাজা ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজার জুটি কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সাকিব এই জুটিকে সফল হতে দেননি। তাঁর বলে জুবায়েরকে ক্যাচ দেন মাসাকাদজা। ৩২ রানে ২ উইকেট হারানোর পর অবশ্য রাজা ও অধিনায়ক টেলর ৫২ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চা​লিয়েছিলেন। তবে অভিষিক্ত জুবায়ের এই জুটি বেশি দূর যেতে দেননি। টেলর আউট হওয়ার পর সিকান্দার রাজাও ফেরেন খুব তাড়াতাড়ি। জুবারের দ্বিতীয় শিকার সিকান্দার রাজার ক্যাচটি নেন মাহমুদউল্লাহ। সাকিবের বলে সিলি পয়েন্টে মুমিনুল হককে ক্যাচ দেন এলটন চিগুম্বুরা।