জুবায়ের-শফিউলে বাংলাদেশের পালে হাওয়া

জুবায়েরের সাফল্যে আশা জাগল বাংলাদেশের। ছবি: শামসুল হক
জুবায়েরের সাফল্যে আশা জাগল বাংলাদেশের। ছবি: শামসুল হক

খুলনা টেস্টের মতো চট্টগ্রামেও বাংলাদেশের সামনে ‘দেয়াল’ হয়ে দাঁড়ালেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। বেশ সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিল এই ডানহাতির ইনিংস। অবশেষে ‘মাসাকাদজা-দেয়াল’ ভাঙলেন শফিউল ইসলাম। ফিরে গেছেন আরেক বাধা সিকান্দার রাজা। লাঞ্চের আগে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০০। এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে ৩০৩ রানে। 
১ উইকেট ১৬৯ থেকে ৪ উইকেটে ১৭২—মাত্র ৩ রানেই জিম্বাবুয়ের ​৩ উইকেট নেই! ছোট্ট একটা ঝড়ই বয়ে গেল সফরকারী দলের ওপর । এ ঝড়ের নেপথ্যে শফিউল ও জুবায়ের ​হোসেন।  ​ 

আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে পেসার রুবেল হোসেন বলেছিলেন, ‘উইকেটে সুইং নেই, স্পিনে টার্ন নেই।’ সকালে উইকেটে রুবেলের কথার প্রমাণ মিলল। কিন্তু ধীরে ধীরে উইকেটের চরিত্রে পরিবর্তন লক্ষ করা গেল। শুরুর দিকে জিম্বাবুয়ের আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান খুব একটা সুযোগ না দিলেও শফিউলের একটি ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মাসাকাদজা। ফেরার আগে এ ডানহাতির সংগ্রহ ৮১ রান।
এরপর বিদায় নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেলরও। জুবায়েরকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে মিড-অফে বল ভাসিয়ে দেন টেলর। অসাধারণ ক্যাচটা লুফে নেন তাইজুল ইসলাম। ফেরার আগে টেলরের সংগ্রহ মাত্র ১ রান। জুবায়েরের একই ওভারে দুর্দান্ত বাউন্স-টার্ন করা তৃতীয় বলটা ক্যাচ উঠিয়ে দিলেন রাজা। স্লিপে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়ার আগে এ ওপেনারের সংগ্রহ ৮২ রান। এরপর জুবায়েরের এক গুগলিতে এলবিডব্লিউর শঙ্কা ছিল চাকাভার। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। তবে এ যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।
আগের দিনের করা ১ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে খেলতে নেমে সকাল থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বেশ ভোগাচ্ছিলেন রাজা ও মাসাকাদজা। আজ ৬৫ যোগ করল এ জুটি। ১৯৯৩ সালের ডিসেম্বরে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের পক্ষে ডেক্কার-ক্যাম্পবেলের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলা সর্বোচ্চ ১৩৫ রানের রেকর্ড ভাঙল রাজা-মাসাকাদজা জুটি। শফিউলের বলে এ জুটি ভাঙার আগে দুজনের সংগ্রহ ১৬০ রান।
সকালের সেশনে জিম্বাবুয়ে তুলেছে ৮৭ রান, হারিয়েছে ৩ উইকেট। এখন পর্যন্ত দারুণ সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। পরের সেশনগুলোয় এ গতি তাঁরা ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।