আত্মবিশ্বাসী তাইজুল-আরাফাত সানি

আত্মবিশ্বাসী দুই তরুণ তুর্কি তাইজুল-আরাফাত সানি। ছবি: বিসিবি
আত্মবিশ্বাসী দুই তরুণ তুর্কি তাইজুল-আরাফাত সানি। ছবি: বিসিবি

বেশ খোশ মেজাজেই দেখা গেল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। শীতের নরম রোদে ক্ষণে ক্ষণে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বভাবসুলভ নানা রসিকতায় মেতে উঠলেন! তবে বিশ্বকাপ কিংবা দল নিয়ে কোনো কথা নেই! সকালে জিম আর ফিটনেস ট্রেনিং শেষে আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলামকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন—এই ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ প্রস্তুতির প্রথম দিনের দৃশ্য।
প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন আরাফাত ও তাইজুল। বিরাট এক স্বপ্ন পূরণ হলো দুই স্পিনারের। এবার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কী? আরাফাত বললেন, ‘একজন খেলোয়াড় হিসেবে সবারই স্বপ্ন থাকে বিশ্বকাপের দলে থাকার, বিশ্বকাপ খেলার, প্রথমটি পূরণ হয়েছে। ব্যক্তিগত লক্ষ্য বলতে, আমার পরিকল্পনা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোনো। প্রতিটি আন্তর্জাতিক ম্যাচই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’ 
দলে সাকিব আল হাসানের মতো স্পিনার আছেন। সে ক্ষেত্রে একই সঙ্গে আরাফাত ও তাইজুল—দুই স্পিনারের খেলার সম্ভাবনা কম। দুজনই একে অপরের একপ্রকার ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। এ প্রসঙ্গে আরাফাতের কূটনৈতিক উত্তর, ‘অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন ভিন্ন। স্পিনার এক, নাকি দুজন খেলবে, সেটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। তবে দলে সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তা ছাড়া আমি ও তাইজুল দুজনই ভিন্ন ধরনের বোলার। তাইজুল ফ্লাইট-টার্ন দিয়ে বল করে। আর আমি উইকেট টু উইকেটে রেখে রান বাঁচানোর চেষ্টা করি।’

ওখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে দুই স্পিনারই অপরিচিত। তবে এটাকে সমস্যা ভাবেন না তাঁরা। তাইজুল বললেন, ‘আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা ওই কন্ডিশনের সঙ্গে পরিচিত। আমরা তাদের সহায়তা নিচ্ছি। বিগব্যাশ, ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দেখেছি। আশা করি সমস্যা হবে না।’ আরাফাত যোগ করলেন, ‘তা ছাড়া আমাদের প্রধান কোচও (হাথুরুসিংহে) সেখানে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। ওখানকার উইকেট বাউন্সি আর আমাদের লো—এই যা পার্থক্য। ওদের মাঠ বড়, সে ক্ষেত্রে স্পিন বোলাররা সহায়তা পাবে। এ ছাড়া দু্ই সপ্তাহ আগেই আমরা সেখানে যাব। এতে অনেক কাজ করার সুযোগ পাব।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য কী? এ ক্ষেত্রে আরাফাত-তাইজুল দুজনই ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। আরাফাত বললেন, ‘আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে যে কোনো দলকেই হারানোর সক্ষমতা আমাদের আছে।’
প্রস্তুতি পর্বে কাল থেকে শুরু হবে দলের ব্যাট-বলের অনুশীলন।