সতীর্থদের বিদ্রূপ করেন মেসি?

লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি

ভদ্র, শান্ত, বিনয়ী, নিরহংকারী ইত্যাদি বিশেষণ লিওনেল মেসির আগেই বেশি ব্যবহার করেন ক্রীড়া সাংবাদিকেরা। টানা চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ের রেকর্ড গড়া সত্ত্বেও কখনোই দম্ভ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি আর্জেন্টাইন এই স্ট্রাইকারকে। কিন্তু সম্প্রতি একটি স্প্যানিশ ওয়েবসাইটে মেসির পুরোপুরি ভিন্ন একটা চরিত্রের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বার্সেলোনায় সতীর্থদের নাকি প্রায়ই নানারকম বিদ্রূপপূর্ণ কথাবার্তা বলে অপমান করেন এ সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
মেসির বিরুদ্ধে গুরুতর এই অভিযোগ আনা ওয়েবসাইটটির নাম ‘এল কনফিডেনশিয়াল’। মেসিকে নিয়ে তাদের বোমা ফাটানো প্রতিবেদনটির শিরোনামটাই হলো, ‘মেসির সত্যিকারের চেহারা’। তাদের দাবি, বার্সেলোনার সাজঘরে নাকি মেসির ভিন্ন একটা চেহারাই দেখতে পাওয়া যায়। আর দলের সেরা খেলোয়াড়ের এই আচরণ নাকি খুবই যত্নের সঙ্গে গোপন করে বার্সেলোনা। কিন্তু স্পেনের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তারকা আলেসান্দ্রো গ্রিমাল্ডো ও জেরার্ড ডিলোফুর মাধ্যমেই সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে কথাগুলো।
‘এল কনফিডেনশিয়াল’-এর এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেসি দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিলেন চিলির স্ট্রাইকার অ্যালেক্সিস সানচেজের সঙ্গে। ২০১১ সালে ৩৭ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনায় আসা সানচেজকে নাকি মেসি বলেছিলেন, ‘তুমি এত খারাপ খেলো! আমি ভেবেই পাচ্ছি না, কেন তোমাকে এত টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছে। শট মারা বন্ধ করো আর বলটা আমাকে দাও।’

সাম্প্রতিক সময়ে নাকি মেসির এ ধরনের আচরণের শিকার হতে হচ্ছে ক্রিশ্চিয়ান তেয়ো। ২২ বছর বয়সী উদীয়মান এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকারকে নাকি মেসি বলেছেন, ‘তুমি কী করছ? তুমি এখানে নতুন। তুমি এখানে কেউ না। বলটা আমাকে দাও। তুমি এখানে আমার জন্য খেলতে এসেছ।’

সত্যিই মেসির ভিন্ন একটা চেহারারই বর্ণনা এসেছে স্প্যানিশ ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে। কিন্তু এর সত্যতা কতটুকু? মেসিকে নিয়ে কখনোই এ ধরনের কোনো অভিযোগ করেননি তাঁর সতীর্থরা। সংশয় আছে ইউরোস্পোর্টসের স্পেন প্রতিনিধি জর্জ ওরদাসেরও। তিনি বলেছেন, ‘মেসির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এর আগেও দু-একবার এসেছে। গত বছরই ডেভিড ভিয়ার সঙ্গে তাঁর কিছু সমস্যা ছিল। আর তার হয়তো কিছু বিশেষত্বও আছে। কিন্তু মেসি অন্য কাউকে এমন কথা বলেছেন, এটা আমি ভাবতেই পারি না।’