টেন্ডুলকার পারেননি, পেরেছেন কোহলি!

দারুণ সেঞ্চুরিতে ভারতের আক্ষেপ ঘোঁচালেন বিরাট কোহলি ছবিঃ রয়টার্স।
দারুণ সেঞ্চুরিতে ভারতের আক্ষেপ ঘোঁচালেন বিরাট কোহলি ছবিঃ রয়টার্স।

ভারত-পাকিস্তানের মহারণ তো নতুন কিছু নয়! হোক সেটা রাজনীতি কিংবা ক্রিকেট। বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে এই লড়াইয়ে আজ পর্যন্ত হারের মুখ দেখেনি ভারত। তবে একটা আক্ষেপ কিন্তু তাদের এই কিছুক্ষণ আগ পর্যন্তও ছিল। ভারতের হয়ে কত রথী-মহারথী খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে।! খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার, মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, সঞ্জয় মাঞ্জেরে​কার, সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তিন অঙ্কে পেঁৗছতে পারেননি কেউই। ক্রিকেট কিংবদন্তি পেঁৗছেছিলেন তিন অঙ্কের সবচেয়ে কাছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে ৯৮ রানে আউট না হলে হয়তো এই প্রতিবেদনটি লেখারই প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু ভারতীয়দের মনে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির আক্ষেপ রেখেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। কিন্তু আজ সেই আক্ষেপ থেকে ভারতবাসীকে মুক্তি দিলেন নতুন ‘টেন্ডুলকার’খ্যাত বিরাট কোহলি।
সাম্প্রতিক ফর্মটা কিন্তু মোটেও ভালো যাচ্ছিল না কোহলির। সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে তার রানের গড় ছিল আট। আজ পাকিস্তানকে সামনে পেয়েই আবার জ্বলে উঠলেন কোহলি । গত মার্চেও এশিয়া কাপে মিরপুরের মাঠে তার ১৮৩ রানের অনবদ্য ইনিংসেই পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আজকের পাকিস্তানের বিপক্ষে বেঁধে দেয়া ৩০১ রানের লক্ষ্য গড়তেও বেশ ভালো অবদান রেখেছে তার ১০৭ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় উইকেটে শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে গড়েছেন রেকর্ড ১২৯ রানের জুটি।
পাকিস্তান জয় না পেলেও এই শতকের পরিসংখ্যানেই যা একটু এগিয়ে ছিল। ২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নের মাঠে যেদিন টেন্ডুলকার ৯৮ রানে ফিরেছিলেন, সেদিনই ভারতের বিপক্ষে ১০১ রানের অনন্য ইনিংসটি খেলেছিলেন সাঈদ আনোয়ার। সাঈদ আনোয়ার ছাড়া ৭০-এর ঘরই পার করতে পারেননি আর কেউই। সেই ৯২ বিশ্বকাপে সিডনিতে আমির সোহেল করেছিলেন ৬২ রান।
এই বিশ্বকাপ শুরুর দুদিনের মাথাতেই ক্রিকেটের রেকর্ড খাতায় বদল এল অনেক! বিশ্বকাপের বাকি দিনগুলোতে আর কত চমক অপেক্ষা করছে কে জানে!