সেই এলিয়ট বিশ্বকাপে

১৯৯২ বিশ্বকাপ। ২২ বছরের নির্বাসন দণ্ড কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা দক্ষিণ আফ্রিকার হলো বিশ্বকাপ অভিষেক। এক স্কুলপড়ুয়া বালক বায়না ধরল, টেলিভিশনে খেলা দেখবে। স্কুল কামাই না দিয়ে উপায় নেই। মা অনুমতি দিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে ভুল হলো মা-ছেলে দুজনেরই। স্কুল থেকে এক সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ হলো ছেলেটি। তখনই ছেলেটের মনে জায়গা নিল ক্রিকেট, বড় হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তাকে হতেই হবে! জোহানেসবার্গের সেন্ট স্টিথিয়ান্স কলেজে এরপর এক প্রতিভাদীপ্ত ব্যাটিং অলরাউন্ডারের জন্ম। ওই কলেজই আরও দুই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারকে পেয়েছে একই সঙ্গে—জোনাথন ট্রট ও মাইকেল লাম্ব।
নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ দলের সদস্য গ্রান্ট এলিয়টের কাহিনিটা এমনই। জন্ম আর বেড়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকায়। চুক্তি নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল গওটেং ক্রিকেট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। জন্মভূমিকে ছেড়ে চলেন এলেন নিউজিল্যান্ড, ২০০১ সালে। ২০০৮ সালে নেপিয়ারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকও হয়ে গেল। যদিও টেস্ট ক্যারিয়ার আটকে গেছে ৫ ম্যাচেই। গত বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত দলেই ছিলেন। কিন্তু বিশ্বকাপ দলে জায়গা হলো না, অলরাউন্ডার হিসেবে বিশ্বকাপে গেলেন জ্যাকব ওরাম ও জেমস ফ্রাঙ্কলিন। পুরো ২০১৩ সালে দলে থাকলেও বাদ পড়েন শ্রীলঙ্কা সফরের পর। এই সেদিন দলে ফেরেন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঘরের সিরিজেই। এর আগে বিশ্বকাপ দলে জিমি নিশামই এগিয়ে ছিলেন সম্ভাবনায়।
নিশামের ব্যাপারটা এলিয়টের উল্টো, টেস্টের পারফরম্যান্স ওয়ানডেতে অনুবাদ করতে পারছিলেন না। কোচ মাইক হেসন ব্যাটিং অর্ডারের ওপরের পাঁচে এমন একজনকে চাইছিলেন যিনি বোলিংও করতে পারে। নির্বাচকেরা তাই বেছে নিলেন এলিয়টকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যাঁর ব্যাটিং গড় ৫৭.৩৩। এবার তাই বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে গেলেন ছত্রিশে পা দিতে যাওয়া অলরাউন্ডার। দুটি ম্যাচ খেলেও ফেলেছেন। রান ২৯ ও ২৯। আজ তৃতীয় ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। রয়টার্স।