আবারও রোমাঞ্চ?

স্যাবাইনা পার্ক, কিংসটন, জ্যামাইকা। ২০০৭ সাল। জেরেমি ব্রের সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের রান ২২১। ইনিংসের শেষ বলে এডওয়ার্ড রেইনসফোর্ড রানআউট হওয়ায় জিম্বাবুয়েও তখন সমান, ২২১। বিশ্বকাপে তৃতীয় ‘টাই’।
আইরিশদের আনন্দের মধ্যে হতাশায় ডুবল জিম্বাবুয়ে। সহযোগী দেশের সঙ্গে ‘টাই’ টেস্ট খেলুড়ে জিম্বাবুয়ের কাছে মনে হলো হারেরই সমান! তা হোক, বিশ্বকাপ সমুদ্রে প্রথম যেন আইরিশ ঢেউই ছড়িয়ে দিয়েছিল সেবার।
আট বছরের ব্যবধানে আরেকটি বিশ্বকাপ, আজ আবার মুখোমুখি দুই দল। লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট এবার অবশ্য ভিন্ন। বিশ্বকাপে আইরিশরা এরই মধ্যে ‘বড় মাছ’ শিকারে অভ্যস্ত। আর জিম্বাবুয়ে হারিয়ে খুঁজছে নিজেদের সোনালি দিন। এ বিশ্বকাপও ব্যতিক্রম নয়, প্রথম ম্যাচেই আইরিশদের জালে ধরা পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমিরাতের সঙ্গে পেয়েছে প্রত্যাশিত জয়। ৩ ম্যাচে আইরিশদের পয়েন্ট ৪।
আইরিশদের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি খেলে জিম্বাবুয়ের পাওয়া একমাত্র জয়টি আমিরাতের সঙ্গে। শেষ আটের সম্ভাবনা ক্ষীণ, তবে আশা বাঁচিয়ে রাখতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এল অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার চোট, তাই আজ নেতৃত্ব দেবেন ব্রেন্ডন টেলর।
আইরিশদের তেমন কোনো সমস্যা নেই। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২০১ রানে বিশাল হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠাই মূল কাজ। সামনে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কঠিন ম্যাচ, তার আগে কোয়ার্টার ফাইনালের রাস্তাটা আরও মসৃণ করে দিতে পারে এ ম্যাচ।
র্যাঙ্কিংয়ের ১০ ও ১১ নম্বর দলের লড়াই, প্রথমবার ফিকশ্চারে চোখ বুলিয়ে হয়তো এড়িয়ে গেছেন অনেকেই। তবে গ্রুপ ‘বি’-এর কোয়ার্টার ফাইনাল লাইনআপ ঠিক করতে এই লড়াইটিই এখন বাড়তি মনোযোগ পাবে স্বাভাবিক। এই ম্যাচ দিয়েই চলমান বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ হচ্ছে হোবার্টে।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সিলেটে ওই ম্যাচের শেষ বলে জিতেছিল আইরিশরা। ‘বিশ্বকাপে’ দুই দলের লড়াই মানেই তাই শেষ বলের রোমাঞ্চ। এবার কী, জিম্বাবুয়ের প্রতিশোধ নাকি আয়ারল্যান্ডের জয়রথ?
নাকি হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে নেমে আসবে স্যাবাইনা পার্কের ছায়া! এএফপি, ইএসপিএন–ক্রিকইনফো।