'৯২ মনে পড়ছে ওয়াকারের

আরও একজন গেলেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার সাক্ষী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। কাল ইডেন পার্কে l এএফপি
আরও একজন গেলেন। এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার সাক্ষী হলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স। কাল ইডেন পার্কে l এএফপি

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাঠে সর্বশেষ বিশ্বকাপেও একসময় দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল পাকিস্তানের। কিন্তু ইমরান খানের নেতৃত্বে কোণঠাসা সেই দলটাই ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিল বিশ্বকাপ। শুরুটা এবারও খুব বাজে হয়েছে পাকিস্তানের। ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার দিশাহীন করে দিয়েছিল মিসবাহ-উল-হকের দলকে। সেখান থেকে জিম্বাবুয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই জয় যেন ১৯৯২ বিশ্বকাপের স্মৃতিটাই ফিরিয়ে দিচ্ছে কোচ পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইউনিসকে, ‘কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসই চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল ইমরান খানের দলটাকে। একই আত্মবিশ্বাস আমাদের ড্রেসিংরুমে ফিরে এসেছে। আমরা দিনকে দিন ভালো করছি।’
দুর্দান্ত একটা ম্যাচ জেতানোর জন্য বোলারদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেছেন ওয়াকার, ‘আমরা দারুণ আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছি। আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। আমি খুবই রোমাঞ্চিত, তবে এখনো অনেক পথ বাকি।’
এই ম্যাচ হারায় দক্ষিণ আফ্রিকার সব শেষ হয়ে যায়নি। সামান্যই সংশয় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিয়েও। তবে চাপের মুখে আরও একবার ভেঙে পড়ে যেন চোকার্স নামটার যথার্থতাই প্রমাণ করল প্রোটিয়ারা। জবাব খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সও, ‘আমি শুধু বলতে পারি আমাদের সবকিছু শতভাগ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে যেন একটা গাড়ি দ্বিতীয় বা তৃতীয় গিয়ারে আটকে আছে। এভাবে আপনি ক্রিকেট ম্যাচ জিততে পারবেন না। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টে। চেষ্টা করতে হবে পরের ম্যাচে যাতে আমরা পঞ্চম গিয়ারে যেতে পারি।’ আর সেই কাজটা করার জন্য সতীর্থদের সবার সাহায্যও চাইলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক, ‘সতীর্থদের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। এ কারণেই তারা দলে আছে। আমি জানি, আমি একা বিশ্বকাপ জেতাতে পারব না। তাদের সবার সহযোগিতাই লাগবে।’ এএফপি।