বিশ্বকাপে প্রথম মাহমুদউল্লাহ

বিশ্বকাপে দেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন মাহমুদউল্লাহ, উদ্বেলিত তো হবেনই ছবি: শামসুল হক, অ্যাডিলেড থেকে
বিশ্বকাপে দেশের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন মাহমুদউল্লাহ, উদ্বেলিত তো হবেনই ছবি: শামসুল হক, অ্যাডিলেড থেকে

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়েরই সেঞ্চুরি নেই। ব্যাপারটা বড় ধরনের এক আক্ষেপ হয়েই ছিল এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। সেই আক্ষেপ আজ ঘুচিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি পেয়ে গেলেন তিন অঙ্কের স্বাদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে ১৩৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংসটি খেলে মাহমুদউল্লাহ ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করলেন নিজের নাম।
নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ আর ৩০তম বিশ্বকাপ ম্যাচে এসে বাংলাদেশ পেল সেঞ্চুরির আনন্দ। অস্বস্তিকর বিষয় হয়ে ওঠা ব্যাপারটিরও অবসান হলো। মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ দূর করে জানিয়ে দিলেন—আমরাও পারি।
১১৪টি ওয়ানডে খেলা মাহমুদউল্লাহর এটি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। টেস্টে সেঞ্চুরি থাকলেও ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না। আজ সেটাই করে দেখালেন। আর করলেন কোথায়! বিশ্বকাপের মঞ্চে! প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলটি আলতো করে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে যখন প্রান্ত বদল করেন মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিক, উচ্ছ্বাসটা যেন মুশফিকেরই বেশি ছিল। ম্যাচ শেষেও মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে একটু হতাশা। তবে আনন্দটাও মিইয়ে যায়নি অবশ্য। বলেন, ‘অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। দলের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি অবশ্যই বিশেষ কিছু। তবে স্কোরকার্ডে আর ১৫-২০ রান যোগ করতে পারলে আরও বেশি খুশি হতাম।’ সেঞ্চুরিটা তিনি উৎসর্গ করেছেন স্ত্রী-পুত্রকে।
এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়েও ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল। ৯৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপে তামিম ছাড়া কাছাকাছি গিয়েও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৭ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে লড়াই মুশফিকেরও